হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ৯নং বাউশা ইউনিয়নের দাসেরকোণা গ্রামে একদল প্রভাবশালী লাটিয়াল বাহিনী কর্তৃক দিন দুপুরে প্রাণনাশক অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে একটি অসহায় পরিবারের লোকজনের ঘরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুই দাঙ্গাবাজের ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানার রায় দিয়েছেন, হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত ট্রাইবুনাল বিচার আমল আদালত৷ সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বাউশা ইউনিয়নের দাসের কোনা গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র কনর মিয়া (৪০) ও তার ভাই কবির মিয়া (৪৫)৷
সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ওই গ্রামের অসহায় মৃত ছরকুম উল্লার পুত্র বৃদ্ধ কমরু মিয়ার সাথে বিগত ২০২১ সালেও ১৫ জুন সকাল অনুমান ৭ ঘটিকার সময় একই গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের পুত্র কনর মিয়া ও কবির মিয়া সহ একদল অস্ত্রধারী লাটিয়াল বাহিনী কর্তৃক তাদের ঘরবাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের মাধ্যমে তছনছ করে দেয়।
এ ঘটনায় দ্রুত সি,আর ২০/২০২১ মামলার বাদী কমরু মিয়া। এর পরদিন ১৬ জুন হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আমল আদালতে উল্লেখিত সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী সহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত আইনে একটি মামলা দায়ের করেন৷
উক্ত মামলাটি হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করলে দীর্ঘ শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারী) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্রুত বিচার আমল আদালতের বিচারক মোঃ জাকির হোসেনের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। উক্ত রায়ে কনর মিয়া ও কবির মিয়াকে অভিযুক্ত সাব্যস্তক্রমে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ১ মাসের জেল রায় প্রদান করা হয়েছে। এতে বাকি সব আসামীদের বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়৷ রায় ঘোষণাকালে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী অনুপস্থিত ছিলেন৷
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, এডভোকেট ইন্দু ভূষণ দাশ ও এডভোকেট কাজী মাজুমুর রহমান।
এ ব্যাপারে বৃদ্ধ কমরু মিয়া বলেন, আসামীরা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস নেই! তিনি
অভিযোগ করে আরো বলেন, কনর মিয়া ও কবির মিয়ার লাটিয়াল বাহিনীর তান্ডবে আমরা অসহায় পরিবারের লোকজন নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি৷ আসামীদের বিরুদ্ধে আরো একাধিক মামলা মোকদ্দমা রয়েছে বলেও তিনি জানান। আদালতের এ রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।