সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত নতুন দিনের পরিচালক মাহবুবুর রশিদ পরিচালিত প্রথম ছবি ‘ভাগ্য’। এতে জুটিবেঁধে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মুন্না ও নায়িকা নিপুণ আক্তার। এর আগে উত্তম আকাশ পরিচালিত চিত্রনায়ক মুন্না’র ‘ধূসর কুয়াশা’ নামে আরো একটি সিনেমা ২০১৮ সালে মুক্তি পায়। সে ছবিতেও মুন্না’র নায়িকা ছিলেন নিপুণ। ‘ভাগ্য’ এই জুটির দ্বিতীয় সিনেমা। এটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারি ।
ভাগ্য সিনেমার পরিবেশনা সংস্থা দি অভি কথাচিত্র থেকে জানা যায় , ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তথা প্রথম সপ্তাহে ২১টি সিনেমাহলে মুক্তি পাবে ‘ভাগ্য’। পর্যায়ক্রমে দেশের সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে সিনেমাটি।
যেসকল সিনেমাহলে প্রথম সপ্তাহে ‘ভাগ্য’ প্রদর্শিত হবে- ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা), লায়ন সিনেমাস (কেরানীগঞ্জ), সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম), চিত্রামহল (ঢাকা), আনন্দ (ঢাকা) গীত (ঢাকা), বিজিবি (ঢাকা), বর্ষা (জয়দেবপুর), চন্দ্রিমা (সাভার, শ্রীপুর) চাঁদমহল (কাঁচপুর), নিউ মেট্রো (নারায়ণগঞ্জ), মনিহার (যশোর), পূরবী (ময়মনসিংহ), সুগন্ধা (চট্টগ্রাম), সংগীতা (খুলনা), মধুবন সিনেপ্লেক্স (বগুড়া), রূপকথা (পাবনা), নন্দিতা (সিলেট) মোহন (হবিগঞ্জ), ছন্দা (হাসানাবাদ)।
ভাগ্য নিয়ে চিত্রনায়ক মুন্না বলেন, ভালোভাবে ছবির কাজটি করার চেষ্টা করেছি। নিপুণের সাথে এর আগে ধূসর কুয়াশায় কাজ করার কারনে রসায়নটা ভালো হয়েছে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ছবিটি মুক্তি পাবে। ছবিটি সত্য ঘটনার ছাঁয়া অবলম্বনে মৌলিক গল্পে নির্মিত, আশা করেছি সব শ্রেণির দর্শকদের পছন্দের ছবি হবে ভাগ্য।
চিত্রনায়িকা নিপুণ বলেন, অনেকদিন পর মুন্নার সাথে নতুন আরেকটি ছবিতে অভিনয় করেছি। যেটি মুক্তি পাচ্ছে ৩ ফেব্রুয়ারি। তার সঙ্গে আগের ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। এই ছবিতেও আমাদের জুটির দারুন কাজ হয়েছে। তাই বলবো ছবিটি দর্শকরা দেখে বিনোদন পাবেন। আর ভাগ্য ছবিটির সাফল্যের বিষয়ে আমি দারুণভাবে আশাবাদী।
অজানাকে জানা, দেশপ্রেম ও সামাজিক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘ভাগ্য’ সিনেমাটি। হালিমা কথাচিত্রের ব্যানারে এতে আরো অভিনয় অভিনয় করেছেন মাসুম আজিজ, গুলশান আরা, সাংকো পাঞ্জা, জেসমিন, আফসানা নূপুর, গাঙ্গুয়া, সাবিহা জামান প্রমুখ।
সিনেমাটির কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন নির্মাতা মোঃ মাহবুবুর রশিদ। সহযোগী পরিচালক ছিলেন নিরঞ্জন বিশ্বাস। এ ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বেলাল খান, দিনাত জাহান মুন্নী, স্মরণ, কাজী শুভ, সুস্মিতা সাহা। সাংগীত পরিচালনা করেছেন ঝংকার খন্দকার।