লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আরো চারটি ইউনিয়নে অ্যাপস ভিত্তিক ‘স্বপ্নযাত্রা’ অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি উদ্বোধন করা হয়। এটি সোনাপুর, চরপাতা, কেরোয়া ও বামনী ইউনিয়নের লোকজনের স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হবে। এর আগে রায়পুর, উত্তর চর আবাবিল ও দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়।
এটি জেলার মধ্যে ১৫তম ‘স্বপ্নযাত্রা’ অ্যাম্বুলেন্স। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ নিয়েছেন লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ। তাঁর পরিকল্পনাতেই জেলার ৫টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নে স্বল্পমূল্যে রোগীদের বহনে অনলাইন অ্যাপস ভিত্তিক এ সেবাটি চালু করা হয়েছে। বলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তহবিল থেকে কেনা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
চরপাতা মজিবুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নূর-এ-আলম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্্জন দাশ, পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বাহারুল আলম প্রমুখ।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্জন দাশ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় মুহুর্তে স্বল্প খরচে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ‘স্বপ্নযাত্রা’র পথচলা। এতে গ্রামের নিম্ন আয়ের লোকজন সহজে শহরে গিয়ে সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছেন।’
সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা গ্রামীণ জনপদে পৌঁছে দিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে এ সেবাটি। এতে অসহায় ও দরিদ্র জনগণ কম খরচে সহজেই স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারবেন। জেলা প্রশাসকের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ‘জাপান ভ্রমনের সময় দেখেছি সেখানে কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে একটি নম্বরে কল দিলে কিছু সময়ের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায়। ওই বিষয়টি থেকেই আমি লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকজনের স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতার জন্য ‘স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্স’ সেবাটি চালুর উদ্যোগ নেই। ইতোমধ্যে ৫টি উপজেলায় ১৫টি অ্যাম্বুলেন্স চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে জেলার ৫৮টি ইউনিয়নকে এ সেবার আওতায় আনা হবে। নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে এ সেবাটি ইতোমধ্যে জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাঁদের আগ্রহ দেখে আমাদের কাজের গতিও বেড়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ বাস্তবায়নে এ উদ্যোগ চলমান থাকবে।’