হাইমচর উপজেলার স্বনামধন্য নীলকমল ওসমানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের সুষ্ঠুভাবে তদন্ত না হওয়ায় নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।মিছিলটি হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসলে শিক্ষার্থীদের দক্ষিণ আলগী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বিল্লাল হোসেন সোহাগ সহ একাধিক স্থানীয় ব্যক্তি ছাত্রদের উপজেলা পরিষদ থেকে সরিয়ে দেন বললেন মিছিল নিয়ে আগত শিক্ষার্থীরা।
২৯’শে জানুয়ারী সকাল ১০ টায় নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম এর অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাইমচর উপজেলা সদর আলগী বাজারের মেই সড়ক ধরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আসেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর অপশাসন ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম ও খন্ডকালীন শিক্ষক সামসুদ্দোহা সেলিম এর অপসারণ এর দাবীতে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে মিছিল নিয়ে আসেন।
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন,আমাদের উপর জুলুম ও নির্যান করছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম ও খন্ডকালীন শিক্ষক সামসুদ্দোহা সেলিম।প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাবজেক্টে ফেল করিয়ে দূর্নীতি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।আমরা বিদ্যালয়ের ল্যাব রুমের বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রতিমাসে একজন বিশ টাকা করে দিচ্ছি কিন্তু,আমরা কি করে কম্পিউটার ওপেন করে এবং বন্ধ করে সেটাই ভালোভাবে জানেনা।
শিক্ষর্থীরা বলেন,আমরা এক বিষয়ে তিন বার পরিক্ষা দিয়েছি এবং টাকা ও দিয়েছি শেষ পর্যন্ত পরিক্ষার কোন ফল প্রকাশ না করে সকলকে টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দিয়েছে।
এমন অসংখ্য অনিয়ম ও দূর্নীতি করছে নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম ও খন্ডকালীন শিক্ষক সামসুদ্দোহা সেলিম।এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্রছাত্রীরা বলেন ফারুকুল ইসলাম স্যার বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে ছাত্র কার ও সাথে ভালো আচরণ করেন না বরং অশ্লীল ভাষায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গালমন্দ করেন।
খন্ডকালীন শিক্ষক সামসুদ্দোহা সেলিম বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখান এবং গালমন্দ করেন, আমাদের একটু অপরাধ হইলে তিনি এলোপাতাড়ি লাথি ঘুষি মারে এবং
২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে কোচিং ফি নেওয়া হয় এবং জানুয়ারি ,ফেব্রুয়ারি ,মার্চ ২০২৩ সালের বেতন নেওয়া হয়, পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে ৩০০ টাকা ক্রস ফি নেওয়া হয়। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের আত্নীয় হওয়ায় তিনি নিজের মত করে বিদ্যালয়টিকে ব্যবহার করছে বল জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও একাধিক শিক্ষক এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এবিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন,তারা বলেন হাইমচরে সেই স্বনামধন্য নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয় এখন আর নেই,প্রধান শিক্ষকের প্রভাবে মনে হয় বিদ্যালয়টি তাহার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান।নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফারুকুল ইসলাম ও খন্ডকালীন শিক্ষক সামসুদ্দোহা সেলিম কে বিদ্যালয় থেকে বিতারিত না করলে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যাবে।
এবিষয়ে হাইমচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে অফিসারকে পাওয়া যায়নি।আমাদের প্রতিনিধি শিক্ষা অফিসার আঃ রহিম খাঁনের ব্যবহিত মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন,আমি অফিসের কাজে চাঁদপুর এসেছি।নীলকমল ওসমানীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অতীতের সমস্যার সমাধান করা হয়েছে।বর্তমানে কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা তবেঁ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ থাকলে আমরা তদন্ত করে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।