লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে প্রিন্সিপাল কাজী ফারুকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) দুপুরে এ পিঠার উৎসব উদ্ধোধন করেন লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুরের সংসদ সদস্য এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। ২৬টি স্টলেই তৈরি করা হচ্ছে গরম গরম প্রায় ৩২ প্রকার পিঠা জিভে জল আনা এসব পিঠার দেখা হয় পিঠার এই মহোৎসবে। প্রতি বছর ঐতিহ্যবাহী সব পিঠার আয়োজন করে থাকেন জেলার ঐতিহ্যবাহী নামকরা এই প্রতিষ্ঠানটি।
ডিম সুন্দরী, বিবি খানা, চালতা পাতা, জামাই পিঠা, গোলাপসহ মজার মজার নামের সব পিঠার দেখার মিলল। নামের মতো এসব পিঠা দেখতেও নজরকাড়া। রয়েছে মালপোয়া, তালের পিঠা, দুধ পুলি, ভাপা, চিতই, ডিম পিঠা, নকশি পিঠা, মুগ পাকন, পাটিসাপটা, লবঙ্গ লতিকা পিঠাও।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনজন দাশ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিপন বড়ুয়া, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুরুল আমিন, প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল কাজী সায়মা বিনতে ফারুকী ও ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।।।
টাটকা পিঠার স্বাদ চাইলে গরম খেয়ে ফেলতে পারেন পছন্দের পিঠা। আগত অতিথি, অভিভাবক ও ১৩’শ শিক্ষার্থী উপভোগ করেন পিঠা উৎসব। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছিলো এই উৎসব।
অভিভাবক আব্দুর রহমান তুহিন চৌধুরী বলেন, নতুন প্রজম্ম নানান রকমের পিঠার সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। পিঠা আমাদের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের আয়োজন প্রসংশনীয়। প্রতি-বছরে যদি পিঠা উৎসব করা হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেমের ভাবনাও আসবে।
উৎসবের আয়োজক প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, বিনোদনের মাধ্যমেই আমরা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করানোর চেষ্টা করি। তাদের সঙ্গে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য পিঠার পরিচয় করিয়ে দিতেই গত কয়েক বছর ধরে এ আয়োজন করছি। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও দর্শনার্থী ও অতিথিদের উপস্থিতিতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন উৎসবমুখর হয়েছে।