কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সম্পত্তির লোভে মাহফুজা (২৫) ও মুক্তা (২১) নামে এতিম দুই বোনকে তাদের বসত ঘরে আটকিয়ে নির্মম ভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে আপন চাচা জামাল মিয়া ও চাচাতো ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য সৌরভ মিয়ার বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে বারটার দিকে উপজেলার আগরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে।
নির্মম নির্যাতনের শিকার আগরপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মাহফুজা কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অপর বোন মুক্তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
মাহফুজা এঘটনার বিচার দাবী করে বলেন, তার চাচাতো ভাই সৌরভ ছুটিতে বাড়ি এসে সেনাবাহিনীর দাপট দেখিয়ে প্রায়ই তাদের অত্যচার ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। যদি বাড়ি ছেড়ে না যায় তাহলে বেইজ্জতি করে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। গত সোমবার দুপুরে জায়গার দলিলপত্র নিতে মাহফুজার বসত ঘরে প্রবেশ করে দলিল নিতে ব্যর্থ হয়ে তার চাচা ও চাচাতো ভাই তাদের দুই বোনকে নির্মমভাবে মারধোর করে ঘরে থাকা জিনিসপত্র ভাংচুর করে। এর আগেও স্থানী ইউপি চেয়ারম্যান সহ একাধিক মাতব্বর এসব ঘটনায় পাঁচবার সালিশ করেছে।
এঘটনায় ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে মাহফুজা বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সম্পত্তির লোভে দুই বোনকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত সেনা সদস্য সৌরভ মিয়া বলেন, আমাদের জায়গা ছেড়ে দিতে মাহফুজাকে বলা হলে সে কোন কর্ণপাতই করেনা। তাই তাকে আমাদের জায়গা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অন্য কিছুই নয়।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।