হাজীগঞ্জের রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরনের নামে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অতিরিক্ত ফি আদায় করলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফি আদায়ের রশিদ দিচ্ছেন না ,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নির্ধারিত ফি’র সাথে অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করতে দিশেহারা অভিভাবকরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজারগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীরা জানায় আমরা বিদ্যালয়ে পড়া-লেখা করছি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক ফরম পূরণ করতে হয় , ফরম পূরনের টাকা পরিশোধ করলেও রশিদ পাচ্ছি না। কিন্তু আমরা পরিবার থেকে টাকা নিয়ে এসে ফরম পূরন করার পরও অভিভাবকদের টাকা জমাদানের রশিদ দেখাতে পারি না। এ নিয়ে অভিভাবকদের অনেক বকা শুনতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিভাবকরা দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব শাহ পরান বিভিন্ন ভাবে ফি আদায়ে লিপ্ত রয়েছে। তার এখন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নিজেদের সন্তাদের ক্ষতি হবে। এই কারণেই মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছি। প্রতিষ্ঠান প্রধান শিক্ষক শাহপরান শিক্ষার্থী প্রতি ৪১২০ টাকা আদায় করছেন।
বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তদারকি করলে এমনটি হত না বলে জানান সচেতন অভিভাবকরা।
যদিও সরকারে উচ্চ পর্যায় হতে বার বার কোচিং বানিজ্য ও অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা বন্ধ হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহপরানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি সঠিক নয়, তবে তিনি শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের ফরম পূরনের অর্থ আদায়ের রিসিট দেননি বলে স্বীকার করেছেন।
এবং তার একটি ৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে স্পষ্ট তার কথাগুলো রয়েছে। যে তিনি প্রতিটি ফরম বিলাপ স্বাক্ষর করার জন্য দশ টাকা করে নেওয়ার কথা বলেছেন প্রধান শিক্ষক নিজে ভিডিওতে ।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ আবুল বাশার পাটওয়ারীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার কাছে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয় কোন অভিযোগ আসেনি, অভিযোগ আসলে আমি খতিয়ে দেখব। সরকারি নির্দেশনাটি আমি সকল বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষদের কাছে পৌছে দিয়েছি যাতে কেউ অতিরিক্ত ফি আদায় না করে। তবে অভিভাবকদের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে বিশেষ ক্লাস ফি বা কেচিং ফি আদায় করতে পারে।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম তানজীর বলেন, বোর্ডের বাহিরে কোন ভাবেই অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই। তবে কাহারো কোন বকেয়া থাকলে তা আদায় করতে পারবে। আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে আনবো।