নওগাঁয় সিমারানী কবিরাজ (২৩) নামে এক গৃহবধূর’র মৃত্যুর ঘটনায় আত্নহত্যা নাকি হত্যা এনিয়ে দু’পক্ষের স্বজনদের মাঝে প্রশ্ন।
স্থানিয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মহাদেবপুর থানা ও নওহাটামোড় ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে ময়না তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল থেকে রবিবার সন্ধার পর মৃতদেহ টি উদ্ধার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে।
এমৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর ইউপির শিকারপুর গ্রামে। নিহত গৃহবধূ
সিমারানী কবিরাজ শিকারপুর গ্রামের ভূতনাথ এর স্ত্রী। তাদের মাত্র ৩ বছর বয়সি এক কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়েকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সিমা রানী’র বাবা নিপেন চন্দ্র কবিরাজ জানান, আমি লোকজন মুখে জানতে পারি যে গত ৩ দিন ধরে আমার মেয়েকে জামাই ভূতনাথ মারপিট করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি মেয়ের সংসার ও সুখের কথা চিন্তাকরে চালসহ খাবার সামগ্রী ও নাতনীর জন্য দুধ নিয়ে আজই সকালে মেয়ে জামাইের বাড়িতে এসেছিলাম। তিনি আরো জানান, আমি আসার পর আমাকে মেয়ে জানিয়েছিলো যে, আজ রবিবার সকালেও জামাই তাকে মারপিট (নির্যাতন) করেছে। মেয়ের মুখে মারপিটের কথা শোনার পরও আমি মেয়েকে বুঝিয়ে বলে দুপুরের খাবার খেয়ে বেলা ২ টারদিকে আমি নিজ বাড়িতে ফেরার সময় জামাই ভূতনাথ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে বলেন আপনি আপনার মেয়েকে এখান থেকে নিয়ে যান। এসময় আমি জামাইকেও শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিজ বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরই খবর পাই যে আমার মেয়ে গলাই দড়ির ফাঁসদিয়ে আত্নহত্যা করেছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি তাকে হত্যাকরে ঘড়ের ভেতর গলাই দড়ি পেচিয়ে রেখে আত্নহত্যা বলে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে।
অপরদিকে গৃহবধূ সিমারানী কবিরাজ এর স্বামীর পরিবার সহ প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানান, ঘটনার দিন রবিবার সকালে সিমারানী ও তার স্বামী ভূতনাথ পারিবারিক বিবাদে লিপ্ত হয় এবং তারই জেরধরে বাড়ির লোকজনের অজান্তে শয়ন ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে বাশের তীরের সাথে গলায় দড়ির ফাঁস দেয়। বিকেল পনে ৩ টারদিকে জানাজানি হলে সাথে সাথে ঘরের দরজা ভেঙ্গে দড়ি কেটে তাকে নামানো হয় তবে নামানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ির এস আই জিয়াউর রহমান জানান, গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে প্রাথমিক সুরতহাল রির্পোট অন্তে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে ময়না তদন্ত সম্পূর্ণ করা হবে।