দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশে পাড়ায় পাড়ায় সংস্কৃতি চর্চা আর দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিসিআরএ) ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বিসিআরএ এওয়ার্ড- ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিসিআরএ সভাপতি অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ছাত্রাবস্থায় কোনো ছাত্র সংগঠনের অনুষ্ঠানে বাংলা গান ছাড়া অন্য ভাষার গান বাজতো না।
ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষার গান মানুষ শুনতো কিন্তু উৎসব পার্বণে ছিল বাংলা। আজ আর তেমনটা নয়। আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে কতটা ত্যাগ, কতটা রক্ত দিয়ে আমরা ভাষার অধিকার অর্জন করেছি, স্বাধীন দেশ রচনা করেছি। এ জন্য পাড়ায় পাড়ায় সংস্কৃতি চর্চা আর দেশজুড়ে সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়তে হবে।
‘
দেশে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজ ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা করোনার মধ্যে যখন স্বল্পসংখ্যক সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তখনও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিয়েছি।
ইতিমধ্যেই হলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মেধাবী শিল্পী কলাকুশলী সাথে নিয়ে আমাদের লক্ষ্য বিশ্ব চলচ্চিত্র বাজারে আরো মর্যাদার আসন।
এ আয়োজনের প্রশংসা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংস্কৃতির তথ্য দেশ ও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সংস্কৃতি বিষয়ক সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, সংগীতে শেখ সাদী খান, চলচ্চিত্রে কাজী হায়াৎ ও মঞ্চ-টিভিতে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুকে আজীবন সম্মাননাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অর্ধশতাধিক নির্বাচিতজনের হাতে বিসিআরএ এওয়ার্ড ২০২২ তুলে দেন ড. হাছান মাহমুদ।