কুড়িগ্রামে বৃহস্পতিবার থেকে তিনদিন ব্যাপী ইজতেমার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এইদিন ফজরের নামাজের মধ্যে দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী এ ইজতেমা ও মাহফিল কার্যক্রম শুরু হবে।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কুড়িগ্রামের ধরলা ব্রিজ পূর্বপাড়ের ফজলুল করীম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
ইজতেমার আয়োজক কমিটির মাধ্যমে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২২ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়ে ২৪ ডিসেম্বর শনিবার ফজরের নামাজের পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম শেষ হবে।
ইজতেমাকে ঘিরে জেলার ৯টি উপজেলার শতাধিক মুজাহিদ কমিটির সদস্যগণ ইজতেমা সফল করতে প্রস্তুতি মূলক সকল কাজ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে করছেন।
ইতিমধ্যেই এই ইজতেমাকে ঘিরে ধর্মপ্রাণ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইজতেমা মাঠে আসা শুরু করেছেন। এছাড়াও ইজতেমাকে ঘিরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে রকমারি ব্যবসায়ীগণ অস্থায়ী দোকান পাট খোলার জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছর করোনার কারনে মুসল্লীদের উপস্থিতি কম থাকলেও এবারে লক্ষাধিক মুসল্লীর সমাগম হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমা এন্তাজিয়া কমিটি।
রানু মিয়া নামের এক মুসুল্লি বলেন, ইজতেমা তো আগামীকাল থেকে আরম্ভ হবে। আমি ভুরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে আজ আসছি । কাল আসলে ভালো জায়গা পাওয়া যাবে না। তাই আজকে এসেছি এবং স্টেজের সামনে স্থান নিয়েছি। প্রতিবছরেই আমি এ ইজতেমায় আসি। আল্লাহ পাক সুস্থ সফল রাখলে তিনদিন শেষ করে বাড়িতে যাবো।
কুড়িগ্রাম জেলা মুজাহিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইজতেমা এন্তেজামিয়া কমিটির সদস্য সচিব মহিউদ্দিন খান আলমগীর জানান, তিন দিনব্যাপী মিনি ইজতেমায় মুজাহিদ কমিটির আমীর ও চরমোনাইর পীর মুফতী সৈয়দ রেজাউল করীম উপস্থিত থেকে বয়ান পেশ করবেন। এছাড়াও দেশ বরেণ্য আলেম-ওলামারা ইজতেমায় নছিহত পেশ করবেন। ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্যান্ডেল তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্ততি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খাঁন মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, কুড়িগ্রামে ৩ দিন ব্যাপী ইজতেমা মাহফিলে সামাজিক কটুক্তি ও ধর্মীয় কটুক্তি ছাড়া ওয়াজ মাহফিল যেন শেষ হয়। কেননা আমরা ধর্মীয় ওয়াজ মাহফিল করতে বাঁধা বা নিষেধ করতে পারি না। যাতে সুষ্ঠভাবে ইজতেমা হয় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।