পাইকগাছার বিভিন্ন অঞ্চলের যুবকরা এক সময় খামারে মুরগি পালন করে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছিলেন।কিন্তু বর্তমানে খামারের পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ফলে গুটিয়ে যাচ্ছে এই জনপ্রিয় খামার ব্যবসা।গত বছরের করোনার ক্ষতি সামাল দিতে না পেরে অনেকেই ঋণ নিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে আরও লোকসানে পড়েছেন।অনেকেই খামার বন্ধ করে পেশা বদলে ফেলেছেন।বর্তমানে খামার ব্যবসা গুটিয়ে বিভিন্ন কাজের দিকে ঝুকছেন।সারাদেশে খামারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রয় মূল্য ১০৮/১১০ টাকা।অথচ এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন খরচ ১৩৫/১৪০ টাকা।
প্রতি কেজিতে লস২৫ টাকা। ২ কেজী ওজনের মুরগী হলে একজন খামারি যদি ১০০০ মুরগি পালন করেন তার লস দাঁড়ায়(৫০×১০০০=৫০০০০)টাকা। এই হিসেবে পাইকগাছা উপজেলার খামারিদের প্রতিমাসে লস আনুমানিক প্রায়১,২৪,২০,০০০/= টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা যায় যে,দুই থেকে তিন বছর আগে যে সকল বেকার যুবক বা ব্যবসায়ীগণ খামার ব্যবসায় সফলতা লাভ করেছিলেন এখন তারা চোখে ধোঁয়াশা দেখছেন।অনেকেই এই পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করছেন।পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের সততা পোল্ট্রি ফিডের মালিক ও খামার ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল মিলন বলেন,২০২১/২২ সালে প্রতি বস্তা মুরগির খাদ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।আগে যে খাদ্য প্রতি বস্তা ১৮৫০ টাকায় ক্রয় করতাম বতর্মানে সেটি কিনতে হচ্ছে ৩২৫০/৩৩০০ টাকায়।এভাবে দাম বৃদ্ধি পেতে থাকলে জনপ্রিয় এই খামার ব্যাবসা অতি দ্রত বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।পাইকগাছা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ বিঞ্চুপদ বিশ্বাস বলেন,ঔষধ ও খাদ্য দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির ফলে অনেকটাই বিপাকে পাইকগাছা উপজেলার খামারিরা।ঔষধ ও খাদ্য দ্রব্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে না এলে খামার ব্যবসায়ীদের জন্য দুর্বিষহ অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।