শনিবার রাজধানীর তেজগাঁও শাহপন্থীশাহ মাজারের সামনে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির ব্যানারে সমাবেশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কয়েক হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় পতাকা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা, শেখ হাসিনার ছবি নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ৭১-এর প্রত্যয় নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন স্থান, সড়ক দিনভর মুখরিত ছিল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের খণ্ড মিছিল আর স্লোগানে। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারাও।
সমাবেশে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বিজয় মাস ডিসেম্বরে বিএনপি-জামায়াতকে নাশকতা-ষড়যন্ত্র করতে দেওয়া হবে না। বিজয় মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে থাকতে স্বাধীনতাবিরোধীদের আস্ফালন মেনে নেবে না। এই দেশ স্বাধীনতা পক্ষের শক্তির হাতেই নিরাপদ। ৭১ সালে যেমন জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, তেমনি তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো প্রয়োজনে যুদ্ধ করব। দেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করব।
বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য দেন- সাবেক সচিব অফিসার্স ক্লাবের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কেএম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবদুল আহাদ চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়ন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যুব মহিলা লীগ নেত্রী তানিয়া হক শোভা প্রমুখ।
তারা বলেন, দেশের মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। অস্ত্র জমা দিলেও ট্রেনিং জমা দেইনি। প্রয়োজনে আরেকটা যুদ্ধ করব, পাকিস্তানের দোসরদের পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার প্রতিষ্ঠিত করব।