বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। পতনের সময় দ্রুত ঘনিয়ে আসতে শুরু করে এই মাটি আর বাংলার স্বাধীনতার শত্র“দের। বাঙালীর জীবন -মরণ লড়াইয়ে বিজয় ধারা বাড়তে থাকে।
৯ ডিসেম্বর ফুলপুর হানাদার মুক্ত দিবস।
পাকিস্তানী বাহিনীর শক্ত দুর্গ বলে পরিচিত ফুলপুরে ৮ ডিসেম্বর বায়জিদ সিং এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সাথে সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগরে পাক হানাদার বাহিনীর তুমুল রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধের পর হানাদার মুক্ত হয় ফুলপুর। এ যুদ্ধে যৌথ বাহিনীর ২৫ জন এবং হানাদার বাহিনীর প্রায় ৪/৫ শত সৈন্য নিতহ হয়। যেন রক্তের গঙ্গা বয়ে যায় সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগরে। শত্র“সেনার সেলের আঘাতে মারা যায় অনেক নিরীহ মানুষ।
সরচাপুর-বাখাই-মধ্যনগর যুদ্ধে ফুলপুর থানা সদর মুক্ত হলেও আরো দু’টি যুদ্ধ করতে হয়েছে মুক্তি পাগল দামাল সেনানীদের। হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ সড়ক ধরে ময়মনসিংহ শহরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় কাকনী ও মধুপুর-রুপচন্দ্রপুরে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ হয় মুক্তি সেনানীদের। কোদালধর-রুপচন্দ্রপুর যুদ্ধে ৫৭ জন রাজাকার আটক এবং ৫৪টি অস্ত্র উদ্ধার করে এগিয়ে যায় ময়মনসিংহ শহর মুক্ত করার লক্ষে। শত্র“মুক্ত হয় ফুলপুর। আকাশে ওড়ে বিজয় পতাকা। গৌরবময় সেই দিনের এলাকাবাসীর স্মৃতিতে আজো অম্লান।
কিন্তু আজোও সংরক্ষিত হয়নি বধ্যভূমি ও শহীদদের নামের তালিকা। ফুলপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসন ৯ ডিসেম্বর দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।