রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির সর্বশেষ বিভাগীয় গণসমাবেশ। ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে গণসমাবেশের আগে নিজেদের দুর্গ বলে পরিচিত রাজশাহীতে ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চায় বিএনপি। চলছে সেই ধরনের প্রস্তুতিও।
বিএনপির নেতাকর্মীরা অন্যান্য বিভাগে সমাবেশের ক্ষেত্রে তারা আগে থেকেই সভাস্থলে অবস্থান নেন। কিন্তু রাজশাহীতে তা হচ্ছে না বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা বলেন, সমাবেশের জন্য বরাদ্দ মাদ্রাসা মাঠে নেতাকর্মীদের অবস্থান করতে দেওয়া হচ্ছে না। শর্তের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের মাঠে থাকতে দিচ্ছে না। ফলে তারা পাশের মাঠে অবস্থান নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকাল ৬টায় তারা ময়দানে ঢুকতে পারবে।
রাজশাহী বিভাগে পরিবহণ ধর্মঘট চলায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা এক প্রকার ঘরবন্দি। অতি প্রয়োজনে যারা বাসা থেকে বের হচ্ছেন তাদের একমাত্র ভরসা নসিমন ও অটোরিকশা।
পরিবহণ ধর্মঘট ডাকায় ৩ দিন আগ থেকেই বিভাগের আট জেলার নেতাকর্মীরা শহরে অবস্থান করছেন। সমাবেশ মাঠে প্রবেশে বাধা থাকায় পাশের মাঠে তাঁবু খাটিয়ে রাতযাপন করছেন তারা। প্রতিটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তাদের কর্মী-সমর্থকদের দেখভাল করছেন। পাশেই চলছে রান্না। বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকমীরা মিছিল নিয়ে সেখানে আসছেন। সমাবেশের আগের রাতেই আশপাশের মাঠ ও সড়কে নেতাকর্মীদের ঢল নামে।
এদিকে গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ঠেকাতে নানাভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার থেকে পুরো বিভাগে চলছে পরিবহণ ধর্মঘট। সিএনজি ও থ্রি-হুইলার শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। পথে পথে চলছে পুলিশি তল্লাশি। সমাবেশ ঘিরে কয়েকদিন ধরে বিভাগের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হানা দিচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীকে। শহরের প্রতিটি প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট। শুধু বাস নয় কোনো মাইক্রোবাসও শহরে প্রবেশ করতে পারছে না। সব বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছেন সমাবেশস্থলে। ট্রেনে, নৌকা, মোটরসাইকেল, নসিমন, এমনকি হেঁটে আসছেন তারা।
বিকালে রাজশাহী পৌঁছেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। হজরত শাহ মখদুম বিমানবন্দরে স্থানীয় নেতারা তাকে শুভেচ্ছা জানান। পরে গাড়িবহর নিয়ে সমাবেশস্থল মাদ্রাসা মাঠের পাশের ঈদগাহ মাঠের সড়কে আসেন। সেখানে ছাদখোলা গাড়িতে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল। তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সবাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন। গণসমাবেশ সফল হবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে, কষ্ট করে আমরা গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য উপস্থিত হয়েছি। এই শীতের মধ্যে আপনারা সারারাত খোলা আকাশের নিচে থেকে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য, দেশ ও নেত্রীর মুক্তির জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, আইনের শাসনের জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আজকে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। সেই জন্য আপনাদের সবাইকে আন্তরিক অভিবাদন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, গণপরিবহণ ধর্মঘট থাকায় তাদের বেশিরভাগই আসছেন ট্রেনে। এছাড়া পাবনা থেকে নৌকায় করে রাজশাহী আসছেন অনেকেই। মোটরবাইকও ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগের আটটি জেলা থেকে প্রায় ৩০ হাজার মোটরবাইক রাজশাহীতে প্রবেশ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকেও নৌকায় নেতাকর্মীরা রাজশাহী আসছেন। তাছাড়া রাজশাহীর পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে অনেকেই সাইকেলে, ভ্যানে এবং হেঁটে রাজশাহীতে পৌঁছাছেন। কোনো বাধা তাদের আটকে রাখতে পারছে না। রাজশাহীর গণসমাবেশে পৌঁছানোর জন্য তারা সব ধরনের চেষ্টা করছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের সমন্বয়ক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু যুগান্তরকে বলেন, পরিবহণ ধর্মঘট ও পথে পথে পুলিশি বাধার কারণে বিভিন্ন কৌশলে রাজশাহীতে আসছেন নেতাকর্মীরা। এ সমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে চাই রাজশাহী বিভাগ বিএনপির দুর্গ। আগামী দিনে সরকার পতন আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এ বিভাগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল আলম যুগান্তরকে বলেন, মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং প্রবেশদ্বারগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। গণসমাবেশস্থল ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া মহানগরীজুড়ে আরও পাঁচ শতাধিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীজুড়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীতে তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশ বদ্ধপরিকর। জননিরাপত্তার বিষয়টিকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তাদের দেখভাল করছেন সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক। তিনি যুগান্তরকে বলেন, জয়পুরহাট থেকে ইতোমধ্যে ১০ হাজারের বেশি নেতাকর্মী রাজশাহীতে পৌঁছেন। আরও অনেকে আসছেন। আসার পথে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়েই আমরা এখানে এসেছি। কেউ হেঁটে, কেউ ভ্যানে সমাবেশস্থলে চলে এসেছি। আমাদের আরও অনেকেই পথে রয়েছেন। তারাও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। তারপরও তারা আসবেন। এছাড়া মোটরবাইকে অনেক এসেছেন। আরও অনেকে আসবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, গণসমাবেশস্থল অনেকটা উৎসবমুখর পরিবেশ। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার দাবিতে বিএনপি নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল করছেন। বিকালে সমাবেশস্থলের পাশেই রান্না করছিলেন জয়পুরহাট জেলা থেকে আসা বিএনপি নেতা ইবরাহিম খলিলসহ আরও কয়েকজন।
ঈদগাহ মাঠে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা আলমগীর চৌধুরী বাদশা। তিনি বলেন, আমরা বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজশাহী এসেছি। ট্রেনে উঠার সময়েও পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। তারপরেও পুলিশ বাধাকে তোয়াক্কা না করে রাজশাহী এসেছি। জয়পুরহাট, নওগাঁ এবং বগুড়ার নেতাকর্মীরা তিতুমীর, বাংলাবান্ধা, বরেন্দ্র এবং উত্তরা এক্সপ্রেসে আসছেন। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে রাজশাহীতে আসার ক্ষেত্রে এখন তাদের প্রধান মাধ্যম ট্রেন।
বিকালে মাদ্রাসা মাঠের পাশের সড়কে কথা হয় বগুড়া জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া মহিলা কলেজের সাবেক ভিপি নিগার সুলতানা তিথির সঙ্গে। তিনি যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শত বাধা উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা এ গণসমাবেশে আসছে। কোনো কিছুই আমাদের এ জনস্রোত আটকাতে পারবে না। ঐতিহাসিক এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন ত্বরান্বিত করা হবে।
পাশেই ছিলেন নওগাঁ জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী সীমা চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা ট্রেনে এসেছি। কিন্তু ট্রেনে উঠার সময় পুলিশ বাধা দিয়েছে। পুলিশের বাধার কারণে নেতাকর্মীরা মহাসড়ক এড়িয়ে ভেতরের রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক, সাইকেল এবং ভ্যানে রাজশাহী আসছেন। আমাদের মনোবল দৃঢ় রয়েছে। যে কোনো মূল্যে আমরা এ গণসমাবেশ সফল করতে চাই। খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এ লড়াইয়ে আমরা নিজেদের উৎসর্গ করতে চাই।
সিরাজগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির এমপি প্রার্থী ও কাজিহাটা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। অনেক স্থানে আমাদের বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো কোনো স্থানে হেঁটে, রিকশা ও ভ্যানে, কিছু স্থানে সিএনজিতে রাজশাহীতে এসেছি।
মাঠে কথা বলছিলেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা প্রধান। তিনি বলেন, ৩ দিন আগে ট্রেনে রাজশাহী এসেছি। বিভিন্ন মাধ্যমে শত প্রতিকূলতা জয় করে তারা রাজশাহীর গণসমাবেশে আসছেন। এছাড়া বগুড়া, জয়পুরহাট এবং নওগাঁর নেতাকর্মীরা ১৫ হাজার মোটরবাইকে রাজশাহী আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে তারা পৌঁছে যাবেন।
তারা অভিযোগ করেছেন, রাজশাহী মহানগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে পুলিশ তাদের থাকতে দিচ্ছে না। পাবনার ইশ্বরদী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাহমুদুল ইসলাম শাওন বলেন, আমিসহ ৫০ জন নেতাকর্মী বুধবার সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন হোটেল আনজুমে উঠেছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ ওই হোটেলে তল্লাশি শুরু করে। এরপর পুলিশ আমাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু সেখানে হাজির হন। উনার হস্তক্ষেপে পুলিশ আমাদের ছেড়ে দেয়। এরপর ময়দানেই শামিয়ানা টাঙিয়ে আমরা থাকছি।
গণসমাবেশের মূল মঞ্চ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গতশুক্রবার সন্ধ্যায় মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ হাসান টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপির রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দীকী, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশাসহ নেতারা।
সার্বিক বিষয়ে গণসমাবেশ আয়োজন কমিটির দলনেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ইতোমধ্যে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আমাদের পাঁচ লক্ষাধিক নেতাকর্মী অবস্থান করছেন। গণসমাবেশ শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময় রয়েছে দুপুর ২টায়। কিন্তু বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমাগমের কারণে আমরা সকাল ১০টা থেকেই শুরু করব। রাজশাহীতে এ গণসমাবেশ হবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বড়। রাজশাহী জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
রাজশাহীতে এবার সিএনজি ও থ্রি হুইলার ধর্মঘট : বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের আগে রাজশাহীতে চলমান বাস ধর্মঘটের মধ্যেই এবার সিএনজি অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে জেলা মিশুক-সিএনজি মালিক সমিতি দুই দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। সমিতির সহসভাপতি আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সমাবেশের আগে ১০ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী বিভাগে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট ডেকেছে পরিবহণ মালিক সমিতি। এটি সমাবেশে বাধা দেওয়ার অংশ বলছেন বিএনপি নেতারা। চলমান এ বাস ধর্মঘটের মধ্যেই অটোরিকশা ও থ্রি হুইলার ধর্মঘটও ডাকা হলো।
তিনি বলেন, তাদের গাড়ির লাইসেন্স আছে। কিন্তু বাস মালিকরা তাদের গাড়িকে ‘অবৈধ’ বলেন। মহাসড়কে তাদের গাড়ি চলাচলে বাস মালিকেরা বাধা দেন। তাই তারা দুই দফা দাবিতে ধর্মঘট শুরু করেছেন। দাবি দুটি হলো-বাস মালিকদের বাধা এবং বিআরটিএ’র হয়রানি বন্ধ করা।
বিএনপির সমাবেশের জন্যই এই ধর্মঘট ডাকা হলো কিনা জানতে চাইলে মিশুক-সিএনজি মালিক সমিতির সহসভাপতি আহসান হাবিব বলেন, ‘না, না। একেবারেই এ রকম না। বাস মালিকরা আমাদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার করছে। আমাদের চলতে দিচ্ছে না রাস্তায়। বাধ্য হয়ে এ সিদ্ধান্ত। দুপুর থেকে ধর্মঘট পুরোপুরি কার্যকর হয়েছে। আলোচনা হবে, সমাধান হবে, তারপর ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে। তার আগে না।’