চট্টগ্রাম মহানগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভাবেশে ১৫ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছ তিনি এই কথা জানান। এর আগে একই স্থানে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ চৌধুরী সমাবেশর বাইরে ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি মানুষ গণজমায়েতের কথা জানিয়েছিল। ২০১২ সালের পর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে কোনো দলীয় জনমাবেশে বক্তব্য রাখতে যাচ্ছেন।
ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সামগ্রকি পরিস্থিতি নিয়ে দিক নির্দেশনা দিবে। আমরা সকলের সহযোগিতা চাই। জনমসাবেশ ঘিরে চট্টগ্রামে মানুষের আবেগ লক্ষ করছেন বলে জানালেন আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানফি। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহর ছাড়াও উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে মানুষের মাঝে প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য নিয়ে শোনার জন্য সবাই উন্মুক হয়ে আছে। এটি চট্টগ্রামের স্মরণকালের জননসভা হবে।
যদিও ২০১৮ সালে ২১ মার্চ তিনি চট্টগ্রামের পটিয়ায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অংশ নিয়েছিলেন। এদিকে সমাবেশকে সামনে রেখে চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। দফায় দফায় সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করে গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরছেন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত। পুরো শহরে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে। মাঠ পরিদর্শনে এসে নানক বলেন, জনসমাবেশের যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পলোগ্রাউন্ডে ময়দান ছাপিয়ে এই সমাবশে আশেপাশের এলাকায় জনসমুদ্রে রুপ নিবে। চট্টগ্রামের বইছে উৎসবের আমেজ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আরেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম.দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন সহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।