চাঁদপুরে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ব্যাপক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আগামী ৫ ডিসেম্বর ১৯টি বছর পেরিয়ে নেতাকর্মীদের মনে মাধুরীর মতামত ব্যাক্ত করার মধ্যদিয়ে হতে যাচ্ছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান ১৯ বছর সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলী এরশ্বাদ মিয়াজী ২০০৫ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর বর্তমান কমিটির অনেকেই সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। প্রার্থীরা চাঁদপুর জেলা শহর, সদর উপজেলা পরিষদ, সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বাজার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যানার, পেস্টুন দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আবার অনেকেই ইউনিয়ন পর্যায়ের কাউন্সিলরদের কাছে গিয়ে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এক নাগারে টানা তিনবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করে আসছেন। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দলকে শাক্তিশালি করার লক্ষে নেতৃত্ব গঠনে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। নানা কারণে সংগঠনের উপজেলা পর্যায়ের কমিটিগুলো এক থেকে দেড় যুগ ধরে চলে আসছে। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পূর্বে এবং দলের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে তৃণমূল থেকে কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। সম্মেলনে স্থানীয় সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার নেতাকর্মীরা এখন উজ্জীবীত হয়ে রয়েছে।
সদর উপজেলার ১৪ নম্বর রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি হজরত আলী বেপারী বলেন, দীর্ঘ ১৯টি বছর পর সম্মেলন হবে জেনে আমরা উজ্জীবীত ও আনন্দিত হয়ে আছি। আমরা চাই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন ও যোগ্য নেতৃত্ব আসুক। তাহলে আগামী দিনে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরো মজবুত হবে।
শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হাজী জানান, আমরা চাই পুরাতনদের অবসরে রেখে নতুন নেতৃত্ব আসুক। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অবশ্যই কাউন্সিলরদের মতামতের গুরুত্ব জেনে তাদের মতামতে নতুন নেতা নির্বাচিত করবে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী বলেন, আমি নিজে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কেন্দ্রীয় নেতারা যাকে নির্বাচিত করবেন, তার নেতৃত্বে আমরা আগামীতে কাজ করে যাব এ প্রত্যাশা করছি।
বালিয়া ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সদর উপজেলায় যারা নতুন নেতা নির্বাচন হবে, তারা অবশ্যই কর্মী বান্ধব নেতা হতে হবে। তৃণমূল নেতাকর্মীরা যাতে তাদের কাছে এসে কথা বলার সুযোগ পায়।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী এরশ্বাদ মিয়াজী বলেন, আমাদের দল টানা ৩ বার ক্ষমতায় রয়েছে। দলের অনেক নেতাকর্মী সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাদের অনেকেই খোঁজ খবর কেহ নেন না। তৃনমূল নেতাদের পাশে যারা থাকবেন তাদেরকেই নেতা নির্বাচিত করা প্রয়োজন বলে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বলেন, এখন নতুন কমিটি হবে। দল ঐক্যবদ্ধ হবে। ৩ বছর পর সম্মেলন হওয়ার প্রয়োজন ছিল। নানা সমস্যার কারণে হয়নি। আমি আশা করি এখন যে কমিটি হবে, কেন্দ্রীয় নেতারা অব্যশই যোগ্য ব্যাক্তিদের নেতা নির্বাচন করবে।