এবারে নেপাল। হিন্দুদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় নেমে এলো ইসলামিক মৌলবাদীদের আক্রমণ।
শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথরবাজির চললো। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে যাওয়া পুলিশকে লক্ষ্য করেও ছোঁড়া হয় পাথর। পরে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উন্মত্ত মৌলবাদী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। ঘটনা নেপালের মোহত্তরী জেলার।
জানা গিয়েছে, মোহত্তরী জেলায় গত ২৭শে অক্টোবর তারিখে ‛হিন্দু সম্রাট সেনা’ নামে একটি হিন্দু সংগঠন একটি মিছিলের ডাক দিয়েছিল তারা।
সেই মিছিলে বিশাল সংখক হিন্দু যুবক যোগ দিয়েছিলেন। সেই মিছিল যখন একটি ধর্মীয় স্থলের পাস দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই বেশ কিছু ইসলামিক মৌলবাদী মিছিল আটকায়। তাঁরা মিছিলে থাকা গেরুয়া পতাকা নামিয়ে যাওয়ার কথা বলে। মিছিলে থাকা হিন্দুরা রাজি না হলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
তারপর মিছিল এগোতে শুরু করলে নেমে আসে পাথরবৃষ্টি। মিছিল লক্ষ্য করে ব্যাপক পাথর ছোঁড়া হয়। পাথরের আঘাতে অনেকের মাথা ফেটে যায়। অনেকের অন্যান্য স্থানে আঘাত লাগে। পরে বিশাল সংখক পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। কিন্তু ইসলামিক মৌলবাদীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরে লাঠিচার্জ করে ইসলামিক জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে।
এদিকে এই ঘটনা ঘিরে মোহত্তরী এবং পার্শ্ববর্তী মদেশ জেলায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। সেই দিকে মাথায় রেখে ওই দুই জেলায় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ওই দুই জেলার একাধিক স্থানে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মোহত্তরী এবং মদেশ জেলায় দিন দিন ইসলামিক মৌলবাদীদের অত্যাচার নিয়ে বিব্রত সাধারণ হিন্দুরা। হিন্দু সম্রাট সেনা নামে সংগঠনটি মৌলবাদীদের জমি দখল ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। সংগঠনটির অভিযোগ, মোহত্তরী জেলায় মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ১৫ শতাংশ। নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাঁরা নানারকম সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছে। আর এতে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ দরিদ্র হিন্দুরা। খুব শীঘ্রই এর বিরুদ্ধে সরকারি পদক্ষেপ না নিলে কোণঠাসা হয়ে পড়বে হিন্দুরা, অভিযোগ সংগঠনটির।