ময়মনসিংহের গৌরীপুর বোকাইনগর ইউনিয়নের ৪৩ নম্বর দাড়িয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে গড়ে উঠা শাপলা ব্রিকস ও এমকেএম ইট ভাটাগুলো গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এছাড়া ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মোসলেম উদ্দিনের মিরিকপুর গ্রামের আয়েশা ব্রিকস ফিল্ডও ভেঙে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক মিহির লাল সরদার। শাপলা ইট ভাটার মালিক দাড়িয়াপুর গ্রামের মোঃ স্বপন মিয়া ও এমকেএম এর মালিক তাঁরা মিয়া।
জানা যায়, দাড়িয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেয়াল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে শাপলা ব্রিকস। এর ৩০০ গজের মধ্যে তানিয়া ও এমকেএম নামে আরও দুটি ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটাগুলো থেকে নিঃসৃত কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে থাকে স্কুলটি। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে স্কুলের শত শত শিশু শিক্ষার্থী। গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, আইন অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। ওই স্কুলটির পাশে স্থাপিত ইটভাটাগুলো আইন না মেনেই স্থাপন করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিহির লাল সরদার বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন-২০১৩ অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ভাটা স্থাপন করা যাবে না। এই ইটভাটা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হওয়ায়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদ বলেন- তিনটি ইট ভাটার চিমনী ও চেম্বার গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সময় স্বল্পতা ও এক্সেভেটরটি কিছুসময়ের জন্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সব অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালানো যায়নি। তবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।