দুর্দান্ত ব্যাট করলেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। দুর্দান্ত বল করলেন পেসার তাসকিন।
এ দুই তারকার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ৩ রানে জিতল বাংলাদেশ।
ব্রিসবেনের গ্যাবয়ে টসে জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তুলে টাইগাররা।
জবাবে তাসকিন-মোস্তাফিজের তোপে রানে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে থেমেছে জিম্বাবুয়ে।
শেষ ওভারটি ছিল টান টান উত্তেজনার। যেখানে জয় হয়েছে বাংলাদেশের।
শেষ ওভারটি মোসাদ্দেকের হাতে তুলে দিলেন সাকিব।
দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ইভান্স (২ রান)। ৪ বলে দরকার ১৫ রান। স্ট্রাইকে নামলেন গারাভা। এ মুহূর্তে লেগবাই থেকে আসলো বাউন্ডারি। পরের বলে বিশাল ছক্কা হাঁকান গারাভা। পরের বলে গারাভাকে স্টাম্পিং করে দিলেন সোহান। শেষ বলে দরকার ৫ রান।
সেই বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাটার। কিন্তু উত্তেজনায় বল ব্যাটে ছোঁয়ার আগেই স্টাম্প ভেঙে দিলেন সোহান। রিভিউয়ে নো বোলের সিদ্ধান্ত আসে।
জয়ের জন্য প্রয়োজন ১ বলে ৪ রান। সেই বলেও রান নিতে পারেনি মুজারাবানি। উচ্ছ্বাস বয়ে উঠে গ্যালারির বাংলাদেশ সমর্থকদের মধ্যে।
একের পর এক উইকেট হারিয়েও রানের চাকা সচল রাখে জিম্বাবুয়ে। যে কারণে ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েও শেষ পর্যন্ত জয়ের আশা জিইরে রাখে আরভিনের দল।
১৬তম ওভারে দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছুঁয়ে ফেলে আফ্রিকার দলটি। প্রথম ৫০ আসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০ বলে। দ্বিতীয় ৫০ আসে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ বলে।
দলকে এ পর্যায়ে একাই নিয়ে আসেন শন উইলিয়ামস। রেগিস চাকাভার সঙ্গে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
তাসকিন সে জুটি ভাঙলে রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামস।
জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন পড়ে ৪০ রান। তাসকিন ও মোস্তাফিজের ৪ ওভারে কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় তরুণ পেসার হাসান মাহমুদের হাতে বল তুলে দেন সাকিব।
সেই ওভারে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূরণ করেন শন উইলিয়ামসন। ৩৭ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫০ রান করেন এ মিডলঅর্ডার।
ওই ওভার থেকে ১৪ রান দিলেন হাসান। ফলে ১২ বলে প্রয়োজন পড়ে ২৬ রানের। দলকে জেতাতে বল নিজের হাতেই তুলে নেন সাকিব।
ওই ওভারে বাউন্ডারি হজম করলেও দুর্দান্ত এক রানআউটে শন উইলিয়ামসকে ফেরালেন সাকিব। ৪২ বলে ৬৪ রানে ফিরলেন উইলিয়ামস।
সাকিবের ওভার থেকে আসলো ৯ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৬ রান। স্ট্রাইকে রায়ান বার্ল।