শুক্রবার বিকেলে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেঁস্তোরায় সিলেটে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা-সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন আমন্ত্রিত সুধীজনেরা।
আজ শুক্রবার বিকেলে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার একটি রেঁস্তোরায়ছবি: প্রথম আলো
শিক্ষক মানেই আবেগের নাম। শিক্ষকদের কাছে ঋণের শেষ নেই। সমাজ ও সভ্যতা বিকশিত হচ্ছে মূলত শিক্ষকদের কারণেই। সমাজের অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষ ভুল করলে এর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব; কিন্তু একজন শিক্ষক যদি শিক্ষার্থীদের ভুল শিক্ষা দেন, তাহলে জাতি ও সভ্যতা শেষ হয়ে যাবে।
সিলেটে প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা-সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন আমন্ত্রিত সুধীজনেরা।
শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণে শিক্ষকেরা নিঃস্বার্থ কারিগর
আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২২ উপলক্ষে রংপুরে আয়োজিত সুধী সমাবেশ। আজ নগরের একটি রেস্তোরাঁয়
আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা ২০২২ উপলক্ষে সিলেটে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে চারটায় নগরের পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার একটা রেস্তোরাঁর মিলনায়তনে এ সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে এ সমাবেশ। এতে শতাধিক শিক্ষক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণি-পেশার সুধীজন অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সুধীজনদের মধ্যে বক্তব্য দেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ইলিয়াস উদ্দীন বিশ্বাস, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম ও অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ভূইঞা, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, অগ্রগামী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ মো. রেনু, আইপিডিসি সিলেট শাখার ব্যবস্থাপক রাফায়েত উল কবির, প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমনকুমার দাশ প্রমুখ।
‘যাঁরা মেন্টর হতে পারেন, তাঁরা প্রিয় শিক্ষক হন’
প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা। গতকাল বিকেলে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শহীদ শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে
অনুষ্ঠানে এসে ফেলে আসা শৈশব, কৌশোর ও যৌবনের প্রিয় শিক্ষকদের কথা মনে করে অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বসে বসে শিক্ষকদের অবদান নিয়ে ধারণ করা ভিডিও দেখার পাশাপাশি সুধীজনদের স্মৃতিচারণায় অনেকে ফিরে যান তাঁদের ছাত্রজীবনে। বক্তব্যে উঠে আসে, শিক্ষকদের অবদানকে মূল্যায়ন করার এই অভিনব উদ্যোগ সমাজে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।