মিরসরাই,প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাগরে ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ চার শ্রমিক ৪৫ ঘণ্টা পরেও উদ্ধার হয়নি। দুর্ঘটনার ২৫ ঘণ্টার পর একজন এবং ৩৮ ঘণ্টা পর আরো তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ শ্রমিকদের লাশের অপেক্ষায় সাগরপাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন স্বজনরা।জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। সকাল ১০টার দিকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডুবুরিদল ও উদ্ধারকারী ট্রলার ভলগেট অনেক চেষ্টা করেও আর কোনো লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।নিখোঁজ শাহিন মোল্লার স্বজন জামাল উদ্দিন বলেন, শুরু থেকে উদ্ধারকাজে অবহেলা লক্ষ্য করা গেছে। শুরু থেকে যদি প্রশাসন আন্তরিক হতো তাহলে এতক্ষণে লাশগুলো উদ্ধার করা সম্ভব ছিল। আরো কত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে আল্লাহ ভালো জানেন।মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান বলেন, নিখোঁজ ৮ শ্রমিকের মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চারজনকে উদ্ধারে একটা ভলগেট ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এখন উদ্ধারকাজ স্থগিত রয়েছে। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ থেকে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একটি এক্সপার্ট টিম আসছে। তারা দুর্ঘটনার স্থল ও ধরন দেখার পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়ে এই আট শ্রমিক নিখোঁজ হন। তার মধ্যে উদ্ধার হয়েছে আনিস মোল্লার এক ছেলে, ইমাম মোল্লা, আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মাহমুদ মোল্লা, সেকান্দার বারির ছেলে মো. জাহিদ বারি ও রহমান ফকিরের ছেলে মো. আল-আমিন ফকির। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আনিচ মোল্লার বড় ছেলে শাহিন মোল্লা, ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে বশর হাওয়ালাদার নুরু সরদারের ছেলে আলম সরদার ও রহমান খানের ছেলে তারেক মোল্লা।
উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে এক হাজার ফুট গভীরে সাগরের মাঝে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন রাখা ছিল। রাতে ঝড়ের কবলে সেখান থেকে আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।