কচুয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে মোরশেদ আলম নামের এক দিনমজুর ও ফাতেমা বেগম নামের এক ভিক্ষুকের ঘর ব্যাপক ভাংচুর হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের দহুলিয়া ও ভ‚ঁইয়ারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে। পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘরবাড়ি,বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি দোকানপাট ভাংচুর,বৈদ্যুতিক সংযোাগ বিচ্ছিন্ন হওয়া দুভোর্গে পড়েছে অনেকে। ঘরের উপর বিশাল আকৃতির গাছ পড়ে ফ্রিজ,অটোরিক্সা,ভ্যান ও অন্যান্য মূল্যবান মালালা নষ্ট হয়ে গেছে মোরশেদ আলমের। ফলে বর্তমানে তিনি নি:স্ব হয়ে গেছেন।
দহুলিয়া গ্রামের দিনমজুর মোরশেদ আলম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে বড় একটি গাছ উপড়ে বসতঘরের উপর। ওই সময় ঘরে থাকা আমার স্ত্রী পিয়ারা বেগম,মেয়ে সুমি আক্তার গুরুতর আহত হয়। গৃহে থাকা ফ্রিজ,টিভি,মূল্যবান আসবাবপত্র ও একটি অটোরিক্সা ভেঙ্গে যায়। সব পুজিঁ হারিয়ে এখন আমি নি:স্ব হয়ে গেছি। স্থানীয় এনজিও থেকে ঋন নিয়ে অটোরিক্সা ক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করছি। এখন অটো রিক্সা ভেঙ্গে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাই জনপ্রতিনিধি,উপজেলা প্রশাসন ও সরকারের আর্থিক সহযোগিতা কামনা করছি।
ভ‚ঁইয়ারা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ ফাতেমা বেগম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে আমান ঘর ভেঙ্গে গেছে। ঘর নির্মানে সরকারি সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিবেশী আলআমিন,মোশারফসহ একাধিক লোকজন বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে অনেকের ক্ষতিসাধন হরেয়ছে। বিশেষ করে দহুলিয়া গ্রামের মোরশেদ আলম, হাসানাত, ভ‚ঁইয়ারা গ্রামের ফাতেমা বেগম,ইউসুফ মিয়া,কামরুল ও ইউসুফ হোসেন তারা অত্যান্ত নিরীহ পরিবারের লোক। এমন তান্ডব হওয়ায় আসলে তারা কষ্টে আছে। উপজেলা প্রশাসন ও সরকারি ভাবে সহযোগিতা প্রদানের দাবি জানাই।
কচুয়া: কচুয়ার দহুলিয়া গ্রামে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে বসতঘর ভাংচুর।