বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা গ্রামে একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে
বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা গ্রামে একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছেছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ওপরে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে উপজেলার একটি পৌরসভা ও আটটি ইউনিয়নের অন্তত ৬৩ হাজার গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ আসেনি। তবে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি বলছে, গাছের ডালপালা সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। আজ সারাদিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোদমে চালুর চেষ্টা করা হবে।
কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহেশখালী জোনাল অফিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গতকাল সোমবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হয়। বাতাসের তোড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ওপর গাছের ডালপালা ভেঙে পড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে বেলা ১১টার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা গ্রামে একটি বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায়।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগডেইল বাজারের ব্যবসায়ী মেহমান উদ্দিন বলেন, ‘গতকাল সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। এ কারণে কম্পিউটার ও ফটোস্ট্যাটের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। দোকান বন্ধ রেখে বসে আছি।’
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ওপরে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ঠাকুরতলা এলাকায়
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ওপরে গাছের ডালপালা ভেঙে পড়েছে। ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ঠাকুরতলা এলাকায়ছবি: সংগৃহীত
এ বিষয়ে কক্সবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহেশখালী জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোর থেকে ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা কাজ করছেন। বেলা ১১টার পর কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ৬৩ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৪৩ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা যায়নি। আজকের মধ্যে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন তিনি।