বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আজ সকাল থেকে পুরো জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১২০টি দল কাজ করছে
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আজ সকাল থেকে পুরো জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১২০টি দল কাজ করছেছবি: প্রথম আলো
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে লক্ষ্মীপুরে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ায় পুরো জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকেও বিদ্যুৎ আসেনি। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই দিন সময় লাগতে পারে। এ জন্য আজ সকাল থেকে পুরো জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ১২০টি দল কাজ করছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল বিকেলের পর থেকে জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। সেই সঙ্গে ছিল ঝোড়ো বাতাস। এতে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙে পড়েছে অসংখ্য বিদ্যুতের খুঁটি।
এভাবে টানা বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে আছেন জেলার বাসিন্দারা। কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সোমবার সকালে বিদ্যুৎ চলে গেছে, এখনো আসেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি।’
ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়েছে অনেকের বসতঘরে
ঘূর্ণিঝড়ে গাছ উপড়ে পড়েছে অনেকের বসতঘরেছবি: প্রথম আলো
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউসুফ ছৈয়াল ও রায়পুর উপজেলার চর বংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, গাছ উপড়ে পড়ে তাঁদের এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। দুদিন বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। মুঠোফোনের চার্জও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুতের লাইনে অসংখ্য গাছ পড়েছে। খুঁটি ভেঙে গেছে। তারও ছিঁড়ে গেছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি খুব খারাপ অবস্থা। তিনি আরও বলেন, জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৫ লাখ ৩ হাজার গ্রাহক আছেন। এখন পর্যন্ত পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১২০টি টিম কাজ করছে। পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আগামী বুধবার পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে সন্ধ্যায় মধ্যে শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা করা হবে।