ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরিমুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি খেত ও মাছের খামার। আজ মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কুকরিমুকরি ইউনিয়নের চর পাতিলায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি খেত ও মাছের খামার। আজ মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবিছবি: নেয়ামত উল্লাহ
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৬ হাজার হেক্টর ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে এবং ১ হাজার মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। আর মারা গেছেন মোট নয়জন মানুষ।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রাথমিক এই ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে আনা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গতকাল মধ্যরাতে আশ্রয় নেওয়া মানুষ বাড়ি যাওয়া শুরু করেন। আজ সকালের মধ্যে সব আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে। আর একজন ঘরের বাইরে গাছচাপায় মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন আছে।