কচুয়ায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর তান্ডবে ঘরবাড়ি,দোকানপাট ও রাস্তাঘাট ভাংচুর হয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে।
কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নে মনপুরা,দরবেশগঞ্জ,কাপিলা বাড়ি,বাতাবাড়িয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফলে অনেকেই এসব ক্ষতির কারনে বিপাকে ও চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। নি:স্ব হয়ে গেছেন অনেক পরিবার।
দরবশেগঞ্জ বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী মানিক হোসেন,আবুল মোল্লা,ইব্রাহিম খলিল জানান, দরবেশগঞ্জ বাজারের প্রায় ৩শ বছরের পুরানো একটি তেতুঁল গাছ ছিলো। কিন্তু সোমবার রাতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং কারনে পুরানো তেতুল গাছটি দোকানে উপড়ে পড়ে। এতে দোকানে থাকা ফ্রিজ,টিভি,অন্যান্য মূল্যবান মালামাল ও দুটি ভ্যান গাড়ি নষ্ট হয়ে প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয় । অপর দিকে আবুল মোল্লার প্রায় ২লক্ষাধিক টাকা ও ইব্রাহিম খলিলের দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন হয়। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে একজন ব্যবসায়ী রাতে ঘর থেকে বের হন। এভাবে অনেকে তাদের ক্ষতির কথা বলেন।
কাপিলা বাড়ি গ্রামের ইমরান হোসেন ক্ষতিগ্রস্থ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর ফলে বৈদ্যুতিক খুটি ভেঙ্গে গেছে এবং ঘর থেকে বৈদ্যুতিক মিটার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রায় ৭২ ঘন্টা যাবত বিদ্যুত বিহীন রয়েছি আমরা। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে-ই আলম রিহাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়াঁনোর আশ^াস প্রদান করেন।
কাদলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরে-ই আলম রিহাত বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারনে অনেকের ক্ষতিসাধন হয়েছে। খবর পেয়ে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে পরিদর্শন করে তাদের ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহায়তার আশ^াস দিয়েছি। সরকারি ভাবে তাদেরকে আর্থিক সহায়তা সহ অন্যান্য ভাবে সহযোগিতা করার হবে।
পরিদর্শন কালে এসময় ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন,কাউছার প্রধান,জামাল ফরাজী,শাহআলম ও আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কচুয়া: কচুয়ার দরবেশগঞ্জ গ্রামে সিত্রাং এর কারনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থান পরিদর্শন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত।