লাকসামে এক নারী বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে পুরুষদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সু-কৌশলে তাদেরকে তার কাছে ডেকে আনে।
কখনো রিকশায়, কখনো সিএনজি করে লাকসাম টু মুদাফরগঞ্জ রাস্তার মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ব্যবহারকারী তাহমিনা, সুমি আবার তানিয়া নাম ব্যবহার করর এই প্রতারক নারী।
কেউ দেখা করতে আসলেই তার স্বামী লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন সমেষপুর গ্রামের কন্ট্রাক্টর বাড়ির বিল্লালের ছেলে সোহেলসহ অন্যান্য কয়েকজন মিলে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে দেয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে
বাড়ির লোকদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২ লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে। অন্যথায় এই প্রতারক মহিলার সাথে অনৈতিক ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিলে আগত লোকেরা বাধ্য হয়ে টাকা নিয়ে আসে।
এমনই এক ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টম্বর এক ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ ৩ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় এবং হরিশ্চর বাজারের একটি বিকাশ দোকানের নম্বরে টাকা পাঠালে পরে ছেড়ে দেয় ওই লোককে। ছেড়ে দেওয়ার পর ওই ভুক্তভোগী লাকসাম থানায় এসে অভিযোগ করলে, লাকসাম থানা পুলিশ সাথে সাথে হরিশ্চর বাজারের ওই বিকাশ দোকানে উপস্থিত হয়ে লাকসাম উপজেলার ৪ নং কান্দিরপাড় ইউনিয়ন চুনাতি গ্রামের মোঃকামাল হোসেনের ছেলে মোঃ আশিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে থানার নিয়ে এসে তার কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে পরে তাকে আদালতে প্রেরণ করে।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) লাকসাম থানার এসআই মোঃ আমিরুল ইসলাম খুব গোপন সুত্রে খোবর পেয়ে সারারাতভর এক অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের মূল হোতা তানিয়া, তাহমিনা ও সুমি নাম ব্যবহার করা প্রতারক ওই নারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এর আগে গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে এক ট্রাভেলস ব্যবসায়ীর সাথে এমনটি করলে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা নেওয়ার পর ৪টি খালি স্ট্যাম্প রেখে দেয় এই চক্রটি।
ভুক্তভোগী ওই ট্রাভেলস ব্যবসায়ীও থানায় অভিযোগ করলে, প্রথমবার ক্ষমা করে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে নগদ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করলেও বাকি টাকা এখনো না দিয়ে গোপনে এই কাজ চালিয়ে চাচ্ছিলেন এই প্রতারক চক্রটি।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেজবাহ উদ্দিন ভুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং জানান, তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।