মোঃমাহফুজুর রহমান বিপ্লব, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
১৭ অক্টোবর সারাদেশের ৬০টি জেলা পরিষদের মতো ফরিদপুরেও জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হচ্ছে কে বা কারা হচ্ছেন জেলা পরিষদের আগামীর কান্ডারী। ফরিদপুর জেলা পরিষদের এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন এবং ৯টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩৭ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ১১৮৫ জন। সকাল ৮টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম ৯টি কেন্দ্রে ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে।
এদিকে ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক হোসেনের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে রবিবার ফরিদপুরে বিশেষ সফরে আসছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের একটি বিশেষ টিম। এদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুইজন প্রেসিডিয়াম মেম্বার জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও আরেক কেন্দ্রীয় নেতা সাহাবুদ্দিন ফরাজি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমনের খবরে ফারুক হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে দারুণ উৎফুল্লভাবে বিরাজ করছে।
এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেনের অপর দুজন প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেন ও নুরুল ইসলাম।
এব্যাপারে নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট ভোটারসহ বিভিন্ন মহলের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো: ফারুক হোসেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী ফারুক হোসেনের বিজয় এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান তার নিজ এলাকা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলাতে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট ভোটার ও নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত মিটিং করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা ও বিশিষ্ট শিল্পপতি একে আজাদ নির্বাচনের শুরু থেকেই ফারুক হোসেনের পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করছেন। ইতোমধ্যে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে ফারুক হোসেনকে আনারস প্রতিকে বিজয়ী করতে জেলা যুবলীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় যুবলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল ও সদস্য নিয়াজ জামান সজিব উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে ওই সভা থেকে ফারুক হোসেনের জন্য কাজ করার নির্দেশ প্রদানের পাশাপাশি কেউ দলের সিদ্ধান্তের বাইরে ভিন্ন অবস্থান নিলে বেছে বেছে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শুরুতেই বিভিন্ন উপজেলা হতে আগত জনপ্রতিধিদের নিয়ে সভা করা হয়েছে।
এব্যাপারে যুবলীগের সাবেক এই প্রেসিডিয়াম মেম্বার মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ¯েœহ করে এই পদের জন্য মনোনীত করেছেন। ১৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে বিজয়ী করতে দলের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছেন। আমরা বিজয়ী হতে পারলে এই ফরিদপুর জেলা পরিষদকে সারাদেশের মধ্যে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াক আরিফ এব্যাপারে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত আওয়ামী লীগের প্রাথী ফারুক হোসেনকে বিজয়ী করতে দলের সকল স্তরের সকল উইংয়ের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ রবিবার নির্বাচনী অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসছেন। এতে দলের নেতাকর্মীদের ছাড়াও সাধারণ ভোটাদের মাঝেও উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজরে রয়েছেন আমাদের প্রার্থী ফারুক হোসেন। আমরা আশা করছি একটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত ভোটের মাধ্যমে ফারুক হোসেনকে বিজয়ী করতে পারবো। ফারুক হোসেনের বিজয় আসলে এখন শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার মাত্র।