বিরামপুর উপজেলায় শীতকালীন সবজি ফুলকপি চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন অনেক কৃষক। ভালো ফলনের পাশাপাশি দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলতি মৌসুমে সবজি চাষে খরচ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ উপজেলার মামুদপুর মুন্সিপাড়া, বালুপাড়া, ভেলার পাড়া দয়ের পাড়, প্রস্তমপুর, হাবিবপুরসহ ৭ টি ইউনিয়নে অধিকাংশ মঠে শীতকালীন সবজি ফুলকপি অনেকেই চাষ করেছেন। ফুলকপির পাশাপাশি কেউ কেউ বাঁধাকপি ও বরবটি চাষ করেছেন। তবে হাইব্রিড জাতের ফুলকপি চাষে ঝুঁকে পড়েছে অধিকাংশ কৃষক।
কৃষক ইকবাল হোসেন মজনু জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আগাম ফসল হিসাবে ফুলকপি চাষ করেছেন। তার দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি ইতোমধ্যে ১২ কাঠা জমির ফুলকপি বিক্রি করেছেন প্রায় এক লাখ টাকা। বাজার দর ঠিক থাকলে কয়েক লাখ টাকার কপি বিক্রি হবে বলে জানান তিনি।
আরেক কৃষক সমীর বলেন, এবার চাষকৃত সবজি ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে, বাজারমূল্যও যথেষ্ট হয়েছে। প্রতিমণ কপি প্রায় ২ হাজার টাকা করে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। গতবছরের চেয়ে এবার বেশি লাভ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সবজি ক্রেতা বেলাল হোসেন, হাসেন আলী রুবেল সহ কয়েকজন জানান, তারা ফুলকপি কেজি প্রতি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা এবং বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় ক্রয় করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিকছন চন্দ্র পাল বলেন,
বিরামপুরের কৃষি বৈচিত্র্যকরণে ভরপুর হয়ে উঠেছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলাম আমরা। কপি চাষ করে তাঁরা সফল হওয়াতে আমাদের প্রশান্তি। ভবিষ্যতে এই ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।