বুধবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ৪৩ কেন্দ্রে জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়ার অভিযোগে এসব কেন্দ্রের ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।”
এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন ভোটাররা। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি এ দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসন। এতে মোট ভোটার তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনে সাঘাটা উপজেলায় ৮৮টি এবং ফুলছড়ি উপজেলায় ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২ বুথে ১৪৫ প্রিসাইডিং অফিসার, ৯৫২ সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্বে ছিলেন।
ভোটকেন্দ্র এবং ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য, র্যাবের ৯টি টিম, ৪ প্লাটুন বিজিবি এবং আনসার ও ভিডিপি নিয়োজিত ছিল। এ ছাড়া সাঘাটা উপজেলায় তিনজন ও ফুলছড়ি উপজেলায় দুজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সার্বক্ষণিক তদারকিতে ছিলেন।
সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। এবারই প্রথম এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।