সংগীতশিল্পী বর্ষা চৌধুরী এক সময় নিয়মিত গান করলেও, এখন আর তাকে সুরের ভুবনে খুব একটা দেখা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখতেই তার দেখা মিলে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে। বর্তমানে দেশের নামি-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করছেন তিনি। মেকআপ আর্টিস্ট হিসেবেও তিনি প্রতিষ্ঠিত।
বর্ষার বর্তমান ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন লাইভ শিডিউল থাকে। দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোটের লাইভ শিডিউল থাকে, সেগুলো করছি। বড় ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে ছোট উদ্যোক্তাদেরও কাজ করছি। সবার সঙ্গেই কাজ হচ্ছে। এসব নিয়ে আপাতত বেশ ব্যস্ত সময় করছি।এছাড়া ফটোশুট করছি, ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করছি। ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করছি।
বর্ষা চৌধুরী ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফায়েড মেকআপ আর্টিস্ট। মেকআপের ভিডিও দিয়েই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেন এই সংগীতশিল্পী।
এ প্রসঙ্গে বর্ষা বলেন, ‘কোভিডের মধ্যে ঘরে বসা ছিলাম। যেহেতু আমি মেকআপ জানি তখন ঘরে বসে মেকআপ লাইভ করি। চারটা লাইভ করার পরে একটা লাইভ ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল হওয়ার পরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক আসে তাদের ব্র্যান্ডের লাইভ করার জন্য। ওখান থেকে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্মে আরো শক্তভাবে কাজ করবো। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিজেকে আরো শক্তভাবে তুলে ধরতে চাই। আরো সুন্দর সুন্দর কনটেন্ট বানাবো। পাশাপাশি একটা সেলুন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যেহেতু আমি নিজে একজন মেকআপ আর্টিস্ট।
এ কাজে ক্যারিয়ার গড়ার পাশাপাশি অন্যদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। পাশাপাশি গানেও সময় দিব।
২০১৮ সালে সর্বশেষ জাতির পিতাকে নিয়ে ‘মহান নেতা’ শিরোনামের গানে দেখা গেছে বর্ষাকে। ২০০৯ সালে মিক্সড অ্যালবাম ‘স্বপ্নযাত্রা’ দিয়ে অডিও বাজারে আসেন বর্ষা। এরপর একের পর এক কাজ করে গেছেন মিক্সড অ্যালবামে। ২০১১ সালে করা মিক্সড অ্যালবাম ‘রং-পেন্সিল’ থেকেই পরিচিত হয়ে উঠতে থাকে বর্ষার নামটি। একই বছর ‘বর্ষা মিক্স’ অ্যালবামের ‘ফল ইন লাভ’ গানটি দারুন জনপ্রিয়তা পায়। এর পরে সংগীতার ব্যানারে বাজারে আসে বর্ষা’র ২য় অ্যালবাম ‘ডুয়েট বর্ষা’। পরবর্তীতে আরো কিছু গান করেন এই শিল্পী।