ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহঃময়মনসিংহের নান্দাইলে কথিত ভূমিদস্যু ল্যাংড়া মজিবরের খপ্পরে পড়ে গ্রামের নিরীহ তিনটি পরিবার নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের পূর্ব রাজা বাড়িয়া গ্রামের (টিক্কার চর)তালে হোসেনের স্ত্রী ফজিলা খাতুন জানান, তাদের পরিবারে সৎ তিন ছেলের দুইজন বিদেশ থাকে, এক ছেলে মকসুদ কে ফাঁদে ফেলে ফুসলিয়ে ৫ শতাংশ জায়গা লিখে নেয় ল্যাংড়া মজিবর। আব্দুর রশিদের স্ত্রী আসমা খাতুন জানান, ল্যাংড়া মজিবরের আরেক ভাই আব্দুস সাত্তারকে দিয়ে পূর্ব রাজাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত সবদুল আলীর পুত্র আব্দুর রশিদের ভগ্নিপতির ছেলে হোসেনপুর উপজেলার কেশারা গ্রামের মৃত সাদত আলীর পুত্র খোকনকে দিয়ে একটি ভূয়া দলিল করে দশ শতাংশ জায়গা লিখে নেয় এবং জোরপূর্বক বেদখলের পাঁয়তারা করে আসছে। অন্যদিকে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ( মুচি) পরিবারের শত বৎসর ধরে পূর্ব পুরুষদের নিকট থেকে প্রাপ্ত যাহা আরওআর সিএস এ উল্লেখিত রয়েছে। নতুন মাঠ পরচায় দাগ ভুল হওয়ায় ১৮ শতাংশ জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয় ল্যাংড়া মজিবর ও ছাত্তার গং। এলাকাবাসী শহিদুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, শাহামত আলী, হাসিম উদ্দিন এই ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন এই মুচি পরিবারটি দীর্ঘদিন ধরেই হেনস্তার শিকার হয়ে আসছে এই কুখ্যাত ভূমিদস্য লেংরা মজিবরের কাছে। মুচি পরিবারটির মতিলাল রবিদাস এর স্ত্রী বেলি রবিদাস কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন পূর্বপুরুষদের আমল থেকে আরওআর সিএস মোতাবেক এই জায়গা আমরা ভোগ দখল করে আসিতেছি। হঠাৎ করে এই ল্যাংড়া মজিবর আমাদের এই ১৮ শতাংশ জায়গা বেদখল করে ২ ল টাকা মূল্যের গাছ বিক্রি করে দেয়। বিভিন্নভাবে আমাদেরকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে এবং বিভিন্ন ধনরনের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে। আমরা পুলিশ প্রশাসন, শেরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ মানবাধিকার সংগঠনের মাধ্যমে লেংরা মজিবরের হাত থেকে বাঁচতে চাই এবং আমাদের জায়গা জমি উদ্ধার সহ ভূমিদস্যুর উপযুক্ত বিচার দাবি জানাচ্ছি।