পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ফরজ নামাজ শেষে সম্মিলিত ধারাবাহিক মুনাজাত ইস্যুতে হযরত মাওঃ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী শতভাগ অপব্যাখ্যা করে ওয়াজ মাহফিলে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে মুসলিমদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী কাজ করতে উৎসাহিত করে যাচ্ছেন মর্মে তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে তাঁর সাথে উক্ত বিতর্কিত ইস্যুতে সরাসরি বিতর্ক করতে চাচ্ছেন এবং একইসাথে উক্ত অপব্যাখ্যা প্রত্যাহার করতে মাওঃ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীকে বিনম্র অনুরোধ জানান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ এর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংবাদ সংগ্রহ সংস্থা এনএনসির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি , পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক খন্দকার মো. শামসুল আলম সুজন ।
প্রভাষক খন্দকার শামসুল আলম তাঁর একটি ফেসবুক পোস্টে ও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য একটি নিউজ পোটাল দৈনিক বাংলার অধিকারের মধ্যেমে হযরত মাওলানা আব্বাসীকে বলেন , “” হুজুর আপনি প্রায়-ই ওয়াজে একটি শতভাগ অপব্যাখ্যা ও মিথ্যাচার করেন যে , প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজাত পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত এবং শতভাগ জায়েজ ।
আর আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি পবিত্র কুরআন হাদীসের আলোকে প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে তথাকথিত বাংলাদেশে প্রচলিত সম্মিলিত রেডিমেন্ট মুনাজাতের কোনো ভিত্তি বা বৈধতা ইসলামে নেই । দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে এদেশে প্রচলিত বাধ্যতামূলক সম্মিলিত রেডিমেন্ট মুনাজাত সম্পূর্ণ বেদাত এবং না-জায়েজ । এই ভ্রান্ত ও বেদাত আকিদা ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় উপমহাদেশে ইহুদি খ্রিস্টান ও নাস্তিক সম্প্রদায়ের অপতৎপরতার মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে প্রবেশ করে ।
তিনি আরও বলেন এই প্রচলিত রেজিমেন্ট মুনাজাত করতে বাংলাদেশের ৯০% মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদ কমিটি বাধ্য করে ।
আর মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন প্রতিবাদ করলে কিংবা রেডিমেট সম্মিলিত মুনাজাত নামের ভ্রান্ত ও বেদাত আকিদার মুনাজাত করতে না চাইলে মুহূর্তেই তাদের ইমামতি ও মুয়াজ্জিন পদ কেড়ে নিয়ে তাদের বাদ দেওয়া হয় । যা পবিত্র কুরআন হাদীসের বিধানের সাথে একেবারে সাংঘর্ষিক এবং চরম অমানবিক ।
প্রাণের চেয়ে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম , খোলাফায়ে রাশেদীন প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের ফরজ নামাজ শেষে যে সম্মিলিত রেডিমেন্ট মুনাজাত করেন নাই কিন্তু আমরা আজ পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে এই না-জায়েজ আকিদাকে ইবাদত মনে করে করেই যাচ্ছি ।
আর আপনারা কিছু দুনিয়াবী লোভ লালসা মোহে এসব কাজকে ইবাদত বলে প্রচার করে সহজ সরল মুসলিমদের পালন করতে বাধ্য করে যাচ্ছেন । আমার বিশ্বাস আপনি আপনার বিতর্কিত বক্তব্য অনতিবিলম্বে তওবা করত: প্রত্যাহার করে সঠিকটাই তুলে ধরবেন । সু-মহান আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে এবং আমাদের সবাইকে সঠিকভাবে হেদায়েত দান করুন আমিন ।””
খন্দকার শামসুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টের ২য় অংশে বলেছেন যে, পবিত্র কুরআন হাদীস গবেষণা করে নামাজ শেষে সম্মিলিত মুনাজাত ইস্যুতে তিনি নিন্ম বর্ণিত দুটি ব্যতিক্রম পেয়েছেন এবং তাঁর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ মতে উক্ত দুটি ক্ষেত্রে সম্মিলিত মুনাজাত সম্পূর্ণ জায়েজ । তাহা নিচে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
১) প্রতিটি মুসল্লি যেকোনো নামাজ শেষে নিজেরা নিজেদের প্রয়োজনে একা একা মুনাজাত করতে পারবে যা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ।
২) কোনো ধরনের মহামারী, দুর্যোগ, অতি অনাবৃষ্টি বা অতি বৃষ্টি সহ নানাহ আজাব গজব দেখা দিলে ; শুধুমাত্র তখনই নামাজ শেষে ইমাম সাহেবের মাধ্যমে সুমহান আল্লাহর দরবারে সম্মিলিত মুনাজাত করা সুন্নাত, তাতে কোনো ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই । যাহা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ।
প্রভাষক খন্দকার মো. শামসুল আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে ও দৈনিক বাংলার অধিকার কে তাহার সবশেষে হযরত মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী মহোদয়কে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন,
” অতএব ,আমি আপনার সাথে উক্ত বিতর্কিত বিষয়ে সরাসরি তথ্য প্রমাণ নিয়ে বিতর্ক বৈঠক করতে চাই । আপনি রাজি থাকলে ফেসবুক ইনবক্সে কিংবা আমার ঠিকানায় মতামত জানাবেন ।