যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় বলেছেন, ‘খাজুরা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এলাকা। আবহমানকাল ধরে এই সম্প্রীতি চলমান আছে। এখানে কোনো ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ নেই। সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে বসবাস করে। শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙ্গালির সংস্কৃতির ঐতিহ্যের একটি অংশ। কোন সাম্প্রদায়িক শক্তি এই সম্প্রীতির অগ্রযাাত্রা বিনষ্ট করতে চাইলে তা কোনদিন সম্ভব হবে না।’
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের খাজুরা বাজার বৈদিক মন্দির চত্ত্বরে সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। বন্দবিলা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদ ও ৩নং বিট অফিসার এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন ও জহুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু।
সম্প্রীতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বন্দবিলা ইউনিয়ন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌবিন্দ চন্দ্র দাস। বাঘারপাড়া থানার সেকেন্ড অফিসার রাজ কিশোর পালের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যশোর সরকারি সিটি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক অলোক বসু, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা ও খাজুরা বাজার বৈদিক মন্দির যুব কমিটির সভাপতি লিন্টু রায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বন্দবিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ডাকু, জহুরপুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী, জেলা মহিলা লীগের সদস্য জাকিয়া সুলতানা, খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ অভিজিৎ সিংহ রায়, খাজুরা বাজার বৈদিক মন্দির কমিটির সহসভাপতি গোপাল পাল, সাধারণ সম্পাদক সনজিৎ ঘোষ, যুবলীগ নেতা সনজিৎ বিশ্বাস ও আক্তারুজ্জামান ফাহিম, মন্দির যুব কমিটির সদস্য তমাল কুমার মহন্ত প্রমুখ।
সম্প্রীতি সমাবেশ শেষে মন্দির কমিটির হাতে সিসিটিভি ক্যামেরা তুলে দেন এমপি রণজিৎ রায়। দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে এ বছরে বাঘারপাড়া উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য ৯১টি পূজা মন্ডপে ব্যক্তিগত অর্থায়নে সিসিটিভি ক্যামেরা প্রদান করবেন তিনি।