বাল্যকাল থেকে সংবাদ পত্রের পাতায় চোখ বুলানো ছিল নিত্যদিনের অভ্যাস। একজন নিয়মিত পাঠক হিসাবে সংবাদপত্রকে তাঁর জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ বলে দাবী করেন। পত্রিকার পাঠক প্রিয়তা ও ভালোবাসা থেকেই লেখা-লেখির অভ্যাস গড়ে তুলেছেন। যিনি মানব কল্যাণের জন্য মানবাধিকার নিয়ে কথা বলতেন। বর্তমানে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের একজন সিনিয়র সাংবাদিক, একজন মানবাধিকার সংগঠক ও ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী নান্দাইল প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত সভাপতি। যার পূর্ণ নাম মোহাম্মদ এনামুল হক বাবুল। তবে সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল নামে সমাজে পরিচিত। বর্তমানে তাঁর বয়স ৫৯ বছর পেরিয়ে। তিনি একজন শিক্ষক পরিবারের সন্তান। বাবা মরহুম টি.আই.এম আজিজুল হক নান্দাইল রোড উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরিবারের ১১ ভাই-বোনের মধ্যে সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল বড় সন্তান। বর্তমানে তাঁর দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। পরিবারের সকলেই শিক্ষিত ও সরকারি-বেসরকারি চাকুরীজীবি।
তবে এনামুল হক বাবুল ৪৪ বছরের সাংবাদিকতা পেশায় তিনি কোয়ার্টার সেঞ্চুরি পদক লাভ করেছেন। পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতায় ও সমাজ সেবায় অর্ধ শতাধিক সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার লাভ করেন। বর্তমানে তিনি ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এ্যাওয়ার্ড-২০২২’ এ- সাংবাদিকতা ও সমাজ সেবায় মহাত্মাগান্ধী পদক লাভ করেন। যা সম্প্রতিকালে ভারত-বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে বেঙ্গল এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কলকাতার উদ্যোগে ও শ্রুতি বৃত্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে মহাত্মা গান্ধী গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড-২০২২ পদক এর আয়োজন করে। এতে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন গূণী ব্যক্তি ও সাংবাদিককে সাংগঠনিক দক্ষতায়, সমাজ সেবা ও সাংবাদিকতায় এই পদক দেওয়া হয়। তারঁ মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক এনামুল হক বাবুল এ পদক প্রাপ্ত হন। এছাড়া ১৯৮৮ইং সনে সাংবাদিকতায় একজন তরুন কলম সৈনিক হিসাবে তিনি “তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া পদক” প্রাপ্ত হয়েছেন। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পিকার শামসুল হুদা চৌধুরীর হাত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের সেরা তিনজন ব্যক্তি যথাক্রমে প্রখ্যাত সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি বাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফি উদ্দিন আহম্মদ ও তরুন সাংবাদিক হিসাবে এনামুল হক বাবুল পদক প্রাপ্ত হয়েছেন।