লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চররমনীতে গতকাল চোরাই গরুসহ চোর সিন্ডিকেটের এক সদস্য শেখ ফরিদ কে আটক করেছে পুলিশ। আটক শেখ ফরিদ লক্ষ্মীপুর চররমনী মোহন ইউনিয়নের ছিদ্দিকের ছেলে। কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ হেলাল বাদি হয়ে গরু চুরির অপরাধে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কমলনগর থানায় জি. আর মামলা দায়ের করেন। চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন শেখ ফরিদে, মুকবুল হোসেন মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা, সফিক মোল্লা, সফিক মোল্লার ছেলে কামাল মোল্লা, মফিজ সর্দারের ছেলে হারুন সর্দার, হারিছ মিয়ার ছেলে মোঃ হোসেন। তারা সকলেই লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনী মোহন ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অনুসন্ধানকালে ভূক্তভোগী বাদী ও তার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, আসামীরা গত ৩১ আগষ্ট রাত ১০টায় তার গেয়াল ঘর থেকে চারটি গরু চুরি করে পার্শ¦বর্তী মেঘনা নদীতে ট্রলার যোগে নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদরের চররমনীমোহন ইউনিয়নের চরমেঘায় অবস্থিত আসামী হারুন মোল্লা ও সফিক মোল্লার গরুর বাওরে রাখে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ সৈয়াল সফিক মোল্লার ঘোয়াল ঘর থেকে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কমলনগর থানার পুলিশ গরুটি জব্দ করে এবং অভিযান চালিয়ে শেখ ফরিদ নামীয় এক আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। স্থানীয় চররমনীমোহন ইউনিয়নের বাসিন্দা ইমাম হোসেন জানান, ইদানিং এলাকায় গরু চুরি বেড়ে গেছে। চোরের উপদ্রবের কারনে গরুকে এখন শিকল দিয়ে বেধেঁ রাখতে হয়। চোরারা এলাকায় চিহ্রিত । এদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। মুখ খুললেই সিন্ডিকেট সদস্যরা হামলা করে। একবার এদেও বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে দলের লেকেরা ইমাম হোসেনর উপর আক্রমন করে এলাকা ছাড়া করে। পরে এ ব্যপারে তিনি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। বর্তমানে তিনি এদের ভয়ে আতংঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বলে জানান।কমলনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোলাইমান জানান, গরু চুরির সাথে জড়িত এক আসামী গ্রেফতার হয়েছে বাকি আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।