মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের গুয়াগাছিয়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই নারীকে মারধর ও লাঞ্চিত করা হয়। পরে এই ঘটনায় মারামারিতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক ব্যাক্তি রক্তাক্ত জখম হয়ে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
ঘটনায় অনুসন্ধানে জানা যায় ৩০ আগস্ট গজারিয়া থানায় গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের শাহিনুর (৩২) তার আপন ভাসুর সহ তিন জনের নাম উল্লেখ্য করে একটি অভিযোগ দায়ের করে।
ভোক্তভোগী শাহিনুর বলেন আমার স্বামী প্রবাসে থাকে, আমার ভাসুর আওলাদ হোসেন মাঝে মধ্যেই আমার উপর জায়গা জমি ও বিভিন্ন পরিপার্শ্বিক বিষয় নিয়ে চড়াও হয়। এমনকি সে আমাকে মারধর ও হেনোস্তা করে। গতকাল ৩০ আগস্ট তারিখে আমার ভাসুর আমাকে মারধর ও লাঞ্চিত করলে আমি আমার বড় ভাই মোজাফফর হোসেন কে বিষয়টি জানাই, তিনি আমাকে নিয়ে গজারিয়া থানায় এই বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
তিনি আরও বলেন থানায় কেনো গেলাম, কেনো অভিযোগ দায়ের করলাম তা নিয়ে আমার ভাসুর আওলাদ হোসেন ক্ষুদ্ধ হয়ে আমাকে অকথ্য গালাগালি করে। গতকাল থানায় অভিযোগ করায় প্রতিক্রিয়ায় আজ ৩১ আগস্ট সকালে তারা আমার ভাই মোজাফফর কে পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে রক্তাক্ত জখম করে। বাবাকে বাঁচাতে আমার কিশোরী ভাতিজি ছুটে আসলে তাকেও তারা মারধর করে লাঞ্চিত করে।
সরেজমিনে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় বেয়াইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত ও আহত মোজাফফর হোসেন গালে তিনটি সেলাই ও মাথায় জখমের চিহ্ন। মোজাফফর ও তার ছোট বোন শাহিনুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
ভিকটিম মুজাফফর হোসেন বলেন, আমার বোনকে নিয়ে আমি কেনো থানায় অভিযোগ দায়ের করলাম তাই তার ভাসুর আওলাদ হোসেন আজ সকালে আমার পথরোধ করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি করে। আমাদের তর্কের এক পর্যায়ে আমার ও আমার মেয়ের উপর তারা সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাকে জখম করে ও আমার কিশোরী মেয়েকে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন রক্তাক্ত হয়ে গজারিয়া থানায় গেলে কর্তব্যরত অফিসার আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। আজকে আমার উপর চালানো সন্ত্রাসী হামলায় বিষয়ে গজারিয়া থানায় আমি বাদী হয়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করবো।
এই বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রইছ উদ্দিন বলেন গতকাল একটি অভিযোগ পেয়েছি, আজ যেই হামলার ঘটনা ঘটেছে তার অভিযোগ এখনো পাইনি, তবে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে তদন্ত করবো এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।