কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম গোবরিয়া গ্রামের মৃত মো. আবদুল হাই এর ছেলে কুলিয়ারচর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক বাংলাদেশের খবর পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি এবং দৈনিক পূর্বকণ্ঠ ও সাপ্তাহিক দিনের গান পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ফারজানা আক্তার নামে এক নারী কর্তৃক তার নামে ঢাকা’র বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মিথ্যা অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৩/২৫/২৬/২৯/৩৫ ধারায় ২৮৬/২০২২ নম্বর মামলা দখিল করার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে কুলিয়ারচর বাজারে তৃপ্তি হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে কুলিয়ারচর ও ভৈরব উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক আজকের সারাদিন পত্রিকার কুলিয়ারচর প্রতিনিধি মো. মাইন উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুলিয়ারচর উপজেলা সাংবাদিকদের মধ্য থেকে সমকাল প্রতিনিধি মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, দৈনিক ভোরের কাগজ প্রতিনিধি আলি হায়দার শাহিন, দৈনিক খোলা কাগজ প্রতিনিধি মোছা. শুভ্রা, দিনের গান প্রতিনিধি মো. নাদিম, দৈনিক পূর্বকণ্ঠ নিজস্ব প্রতিবেদক শাহীন সুলতানা, বাংলা পত্রিকা প্রতিনিধি লোকমান হোসাইন, দৈনিক জাগো প্রতিদিন প্রতিনিধি মো. সবুজ মিয়া, দেশ সেবা প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী সোহেল, ভৈরব উপজেলা থেকে সিএনএন বাংলা টিভি ও ভোরের পাতা প্রতিনিধি মোঃ জয়নাল আবেদীন রিটন, জিটিভি ও ভোরের ডাক প্রতিনিধি এম এ হালিম, নয়া শতাব্দী প্রতিনিধি এম আর রুবেল, ৭১ টিভি ও প্রতিদিনের সংবাদ প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান পাটুয়ারী, আনন্দ টিভি প্রতিনিধি মো. আরিফুল ইসলাম মামুন, হাওর টাইমস্ সম্পাদক ও গণ মুক্তি প্রতিনিধি মো. খাইরুল ইসলাম ভূয়া, আমাদের নতুন সময় প্রতিনিধি ইমন মাহমুদ লিটন ও স্বাধীন মত প্রতিনিধি অদুধ প্রমূখ।
ঢাকা বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে কুলিয়ারচর পৌর এলাকার বড়খারচর গ্রামের আব্দুর রাশিদের কন্যা ফারজানা আক্তার (৩৬) কর্তৃক দাখিলকৃত ২৮৬/২০২২ নম্বর মামলায় সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে ৩ নম্বর আসামী করে তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবী করে প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, মামলায় ফারজানা আক্তার উল্লেখ করেছে “কালো পাতা”, কলিজা পুড়ে ছাই”, ” কুলিয়ারচর বার্তা কুলিয়ারচর বার্তা”, ঘটনার পেছনে”, “Atik Ramdi Atik Ramdi” নামক ফেসবুক আইডি গুলো সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ ব্যবহার করে আসছে। আমাদের বিশ্বাস সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদ এসব ফেসবুক আইডি থেকে কোন প্রকার লিখা, ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে ফারজানা আক্তারের মানহানি করাতো দূরের কথা এসব আইডি কখোনো তিনি ব্যবহারই করেননি। এ মামলায় তাকে আসামী করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাংবাদিক মুহাম্মদ কাইসার হামিদকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।