২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনেন সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে তৎকালীন বিরোধী দলীয়নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপর ভয়াভয় গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের সন্তান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শহীদ কুদ্দুস পাটোয়ারীর হত্যা সহ নিহত সকলের বিচার দাবি করেছেন চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এ্যাড, হেলাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল ২০ আগষ্ট সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সাথে এক সাক্ষাৎকারে এ তারা দাবী জানান।
জানাজায় ২০০৪ সালে২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার কতি সন্তান স্বেচ্চাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী ২০০৪ সালের ২১ শে আগস্ট তিনি সেই ট্রাজেডিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষার্থে নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন হাইমচরের কৃতি সন্তান কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা, শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী
দীর্ঘ ১৮ বছর পার হলেও খুনিদের বিচারের অপেক্ষায় থেকে বিচার না দেখে ছেলে হারানোর শোকে ২০১৮ সালে
পরাপারে চলে গেলেন শহীদ আব্দুল কুদ্দুসপাটওয়ারীরমাআমেনা বেগম।ছেলে হারানোর পর মা আমেনার স্বপ্ন ছিল বাংলার মাটিতে খুনিদের বিচার হবে। অপরাধীরা সাজা পাবে কিন্তু বিধির বিধান সে স্বপ্ন পুরন না হতেই তিনি না ফেরার দেশেচলে গেলেন।
শহীদ কুদ্দুসের মা খুনিদের বিচার দেখতে না পারলেও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এক বুক আশা নিয়ে খুনিদের বিচার দেখার অপেক্ষার প্রহর গুনছে। শহীদ কুদ্দুসের নামে একটি মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ২১ আগস্টে নিহত সকলকে শহীদ মর্যাদা প্রদানের জোর
দাবি উঠেছে তার পরিবারের পক্ষথেকে।শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারী১৯৬৯ সালেউপজেলায় জন্মগ্রহন করেন।তিনি ১৯৯৬ সালে উচ্চ শিক্ষারজন্য ঢাকা জগন্নাথ কলেজে ভর্তিহন। ওই কলেজ থেকে শুরু হয়তার রাজনৈতিক জীবন। ঢাকা
থাকায় খুব অল্প সময়েই কেন্দ্রীয়আওয়ামী রাজনীতির সাথে
জড়িত হয়ে স্বেচ্ছাসেবকলীগের
কেন্দ্রীয় সদস্য হিসেবে মনোনিতহন। শহীদ আব্দুল কুদ্দুস
পাটওয়ারী ৬ ভাই ও ২ বোনদেরমধ্যে ৫ম ছিলেন। বর্তমানে ভাই
আলমগীর হোসেন ক্যান্সারেঅ্যাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে
দিন পার করছেন। শহীদকুদ্দুসের বড় ভাই আমান উল্লাহপাটওয়ারীএকজনব্যবসায়ী,মোঃ হুমায়ুন পাটওয়ারী
হাইমচর উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতএকজন
ঠিকাদার, আরেক ভাই গোলাম হোসেন ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। কুদ্দুসের আরেক ভাই আনোয়ার হোসেন কুদ্দুসের শহীদ হওয়ার পূর্বেই মৃত্যুবরণকরেন।
শহীদ আঃ কুদ্দুসের বড় ভাই কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোঃ হুমায়ুন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমার ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ প্রান রক্ষার্থে জীবন উৎসর্গ করেন। ভাইকে হারিয়ে আমরা যেমন ব্যাথিত তেমনি জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকায় আমরা গর্বিত। আমার মা তার পুত্রের খুনিদের বিচার দেখে যেতে পারেনি। আমরা দেখতে পারবো কিনা তা জানা নেই। তবে আমরা আশাবাদি জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলেই খুনিদের বিচার কার্যকর ইনশাআল্লাহ। হবে
তিনি তার ছোট ভাই শহীদ আবদুল কুদ্দুছের নামে একটি স্থাপনার জানিয়েছেন,ভবিষ্যৎ দাবি প্রজন্ম তাদের মনে রাখতে পারে এবং তার ভাই সহ ২১ আগস্ট নিহত সকলকে শহীদ হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার দাবি
হাইমচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহব্বায়ক জহিরুল ইসলাম সোহেল পাটোয়ারী জানান, ২১শে আগস্ট ও শহীদ ড
কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা, কালো পতাকা উত্তোলন ৮.৩০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও শহীদ আব্দুল কুদ্দুস পাটওয়ারীর প্রতিকৃতে পুস্প মাল্য অর্পণ, সকাল ৯ টায় শোক র্যালি ও শহীদ কুদ্দুস পাটওয়ারীর সমাধীতে পুস্পমাল্য অর্পণ। ১০ টায় দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হবে।।