স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বাংলাদেশ ভারতের একমাত্র অকৃতিম ও পরম বন্ধু।
যেটুকু সময় আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘ সময়ের মধ্যে টানা ৩ বার বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সেভেন সিস্টার খ্যাত রাজ্য গুলোতে অতীতে উগ্র সন্ত্রাসবাদের যে সমর্থন ও অস্ত্র পেত, সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিয়েছে বর্তমান ক্ষমতাশীল সরকার। তার প্রকৃত উদাহরণ অন্য সরকার গুলোর আমলে দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। বাংলাদেশে উগ্র সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের উত্থান হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে ২১ আগষ্ট হত্যার জন্য যে গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল তারেক ও বাবর এর নেতৃত্বে তা সত্যিই লোমহর্ষক। আজকে তারেক রহমান লন্ডনে অবস্থান করেছে, ইতিমধ্যে বৃটেন সর্তক করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নরেন্দ্র মোদির আগমন কে কেন্দ্র করে ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে হেফাজত ইসলাম এর একটা অংশকে ব্যবহার করে পাকিস্তানী অর্থায়নে লোহমর্ষক তান্ডব চালিয়েছিল। প্রসঙ্গত ভারত কে ভাবতে হবে বাংলাদেশ কারোর সাথে বৈরিতা নয়, সবার সাথে বন্ধুত্ব এই পররাষ্ট্র নীতিতে বিশ্বাস করে। আমি মনে করি কেন জানি বৈরী রুক্ষ মনোভাবের কারনে নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ভূটান সহ অনেক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে ভারতের সম্পর্ক তলানিতে বরং বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকার একমাত্র বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের অনেক মিডিয়া বাংলাদেশ ও চীনকে বিভিন্ন সময়ে বিরুপ মন্তব্য প্রদান করেন। ভারতের অনেক মিডিয়া বাংলাদেশ চীনের অর্থনৈতিক ও ঋনের বিনিময়ে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে থাকেন। ইতিমধ্যে সরকার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কারো সাথে ঋণের বিনিময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন বন্ধ রেখেছেন। বরং একমাত্র দেশ জাপান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পাশে আছেন। মায়ানমার অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের উপর ১০ লক্ষের ও বেশি রোহিঙ্গা চেপে দিয়েছেন। যা ইতিহাস বর্বচরিত মানবাধিকার লংঘণের জঘন্যতম ঘটনা বাংলাদেশের উপর মায়ানমার চাপিয়ে দিয়েছেন। পাকিস্তান থেকে জঙ্গী বিমান কিনেছে, রাশিয়া থেকে কিনেছে, চীন থেকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক মিজাইনসহ অনেক অস্ত্রসস্ত্র কিনেছে, উত্তর কোরিয়া থেকে প্রযুক্তিসহ ক্ষেপনাস্ত্র কিনেছে মায়ানমার সামরিক জান্তা। সরকারী পৃষ্ঠাপোষকতায় ইয়াবা, আইস, হেরোইনসহ অনেক ড্রাগের ভয়ানক দেশে রূপান্তর হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা ইয়াবা পাচার করে একদিকে বাংলাদেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করছে অন্যদিকে বাংলাদেশের অর্থনৈকি ধ্বংস করছে। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার জন্য ভয়ানক হুমকি। চীন সম্পূর্ণরূপে একটি ব্যবসায়ীক দেশ- পশ্চিম বাংলার মিডিয়া প্রকার করছে চীন ও বাংলাদেশ ক্ষেপনাস্ত্র রক্ষনাবেক্ষণ প্রযুক্তিসহ কারখানা তৈরী করতে যাচ্ছে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কাছে প্রশ্ন বাংলাদেশ মায়ানমারের আগ্রাসী মনোভাবের কাছে নিজেকে রক্ষা করার জন্য তৈরী হওয়া উচিত নয়? বরং মায়ানমার সাময়িক দিক থেকে যত শক্তিশালী হচ্ছে তত বেশি বাংলাদেশ থেকে ভারতের জন্য ভয়ানক হুমকি। যার প্রকৃত উদাহরণ ধর্মীয় দৃষ্টিকোন ও অন্যান্য বিষয়ে চীন ও ভারত যুদ্ধ লেগে গেলে মায়ানমার কখন ও ভারতের পক্ষে যেতে পারবেন না। রাশিয়া ভারতের শত বছরের আগের বন্ধু। ভারত, রাশিয়া, চীন, হয়তো অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একমত পোষন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে কখনও বন্ধু মনে করে না। ইজরাইলের সাথে ভারতের আছে অত্যন্ত সামরিক ও অর্থনৈতিক জোট। যা ভারতকে বহুদুর এগিয়ে দিয়েছে। সারা পৃথিবির একমাত্র রাষ্ট্র ব্যবস্থা ইয়াহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েল মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বড় কোম্পানী, ইয়াহুদী ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে, সরকারী আমলা, বিজ্ঞানী ইয়াহুদী কিন্তু মোট জনসংখ্যার বিশাল অংশ খ্রীষ্টান। রাষ্ট্র ক্ষমতার কে আসবে তা নির্ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থিত ইয়াহুদীদের উপর। তারা যা চাইবে ক্ষমতার অধিষ্ঠিত রাষ্ট্র প্রধান তা করতে বাধ্য। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উর্থান হয়েছিল। আঞ্চলিক প্রচলিতবেশি রাষ্ট্রগুলো স্থিতিশীল ও ভারসাম্য ধরে রাখতে হলে বর্তমান সরকারের কোন বিকল্প নেই।
লেখকঃ গরীবশাহ্ হোসেন চৌধুরী বাদশাহ-সাধারণ সম্পাদক, মহামায়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, ছাগলনাইয়া-ফেনী।