চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী সনাতনী প্রতিষ্ঠান আশিকাটি শ্রী শ্রী সচ্চিদানন্দ শ্যামসুন্দর হরিসভায় ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৪৮ তম আবির্ভাব তিথি উপলক্ষ্যে ২ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০ আগস্ট শনিবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এ সমাপনী হয়।
এদিনে দুপুর ১২টায় রাজভোগ ও ভোগারতি শেষে বেলা ২ টায় ভক্তদের মাঝে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদ সভাপতি পরেশ মালাকার। তিনি বলেন, এতো চমৎকার মনোরম পরিবেশে যে হিন্দুদের একটি স্থাপনা রয়েছে তা আমার জানা ছিলো না। এখানে এসে আমার মনটাই ভালো হয়ে গেলো। এই মন্দিরটি এগিয়ে নিতে আমার পক্ষ থেকে যেকোন সহযোগিতা নিয়ে পাশে থাকবো।
বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন জেলা জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদ সাবেক সভাপতি গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, প্রায় ৫৪ শতাংশ জায়গা নিয়ে এই হরিসভা মন্দিরটি করা হলেও এখনো এটি নানান সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। মন্দিরটি হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের রেজিষ্ট্রেশনের আওতায় এনে এটির উন্নয়ন সম্প্রসারণ করতে আমরা পাশে থাকবো।
ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আশিকাটি শ্রী শ্রী সচ্চিদানন্দ শ্যামসুন্দর হরিসভা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হারাধন চন্দ্র দত্ত এবং সাধারণ সম্পাদক ব্রজ গোপাল আচাৰ্য্যের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আশিকাটি শ্রী শ্রী সচ্চিদানন্দ শ্যামসুন্দর হরিসভা পরিচালনা পরিষদের উপদেষ্টা সুকমল কর রামু, হামানকর্দি পল্লী মঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক দুলাল কৃষ্ণ ঘোষ, বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ উপাধ্যক্ষ গোলাপ চন্দ্র পাল, বাবুরহাট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জহর লাল আচার্য প্রমূখ। এ সময় মন্দিরের পরিচালনা পরিষদের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতি বছরের মতো আশিকাটি শ্রী শ্রী সচ্চিদানন্দ শ্যামসুন্দর হরিসভায় দুই দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের অয়োজন করে আশিকাটি শ্রী শ্রী সচ্চিদানন্দ শ্যামসুন্দর হরিসভা পরিচালনা পরিষদ। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের প্রথমদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং এরপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়।