মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বরদিয়া ও শোভনকর্দী এলাকায় একটি খালের ওপর স্থাপিত একটি কালভার্ট গত শনিবার রাতে পানির রাতে ধসে পড়েছে। এ জন্য সেখানে যানবাহন ও মানুষের যাতায়াতও বন্ধ রয়েছে।
ঘুরে দেখা গেছে, সেখানকার গোটা কালভার্টটি ধসে খালের পানিতে পড়ে আছে। বক্স কালভাটটি এক পাশের রেলিং দেবে পানিতে তলিয়ে আছে। এতে সংযোগ-সড়কের মাটিও ধসে পড়েছে। পাশের বসতবাড়িগুলো খালের পানিতে ধসে পড়ার হুমকিতে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে পারছে না। অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান, চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় পিআইও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলার বরদিয়া-শোভনকর্দী সড়কের ওপর মতলব-বাবুরহাট খালের ওপর ২০ ফুট দীর্ঘ ও ১২ ফুট চওড়া কালভার্টটি নির্মিত হয়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ওই নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করে। এতে ব্যয় হয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৩০ টাকা। স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজটির দেখভাল করে।
মতলব পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওয়াজ উদ্দিন প্রধান বলেন, কালভার্টটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বরদিয়া-শোভনকর্দী সড়কের ওপর নির্মিত এ কালভার্টের ওপর দিয়ে উদ্দমদী, শোভনকর্দী, মোবারকদি, বরদিয়া, নবকলস, ঢাকিরগাঁও ও শীলমন্দিসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লোক যাতায়াত করে। এসব এলাকা থেকে চাঁদপুর জেলা শহর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ উপজেলা শহরসহ আশপাশের আরও কয়েকটি উপজেলা শহরে যাওয়ার সহজ, সময়সাশ্রয়ী ও একমাত্র মাধ্যম ওই সড়কপথ। কালভার্টটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ শ যানবাহন চলাচল করে। এটি ধসে পড়ায় স্থানীয় লোকজনের যাতায়াত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরদিয়া এলাকার কলেজশিক্ষক অশোক কুমার রায় অভিযোগ করে বলেন, নির্মাণকাজ মানসম্মত না হওয়ায় এত অল্প সময়ে কালভাটর্টি ধসে পড়েছে। নির্মাণকাজটিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে। মতলব দক্ষিণের পিআইও মো. রবিউল ইসলাম জানান, এটি নিয়ম মেনে ও যথাযথভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে প্রকৌশলগত সমস্যা হয়নি। পানির স্রোতের কারনে নিচের মাটি সরে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি কমলে কালভার্টটির মেরামত শুরু হবে।