যশোরের শার্শার পাড়ের কায়বা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্তকে কেন্দ্র করে বসতবাড়ী ভাঙচুরের ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের সচিব
নাজমুল হাসান সহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটি করা হয়।
রবিবার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলাটি করেন ভুক্তভোগী আবু হোসেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, উপজেলার পাড়ের কায়বা গ্রামের মৃত মোশারফ মোল্ল্যার ছেলে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নাজমুল হাসান,একই গ্রামের রফিকুলের ছেলে ইব্রাহীম,আব্দুল গফ্ফারের ছেলে আরিফ,মৃত আ:হামিদের ছেলে জাহাঙ্গীর,রফিকুল ইসলামের ছেলে ইসরাফিল,আফিল উদ্দীনের ছেলে চঞ্চল, ফজলু সরদারের ছেলে প্লাবন,মৃত রমজান হোসেনের ছেলে মিলন,মৃত আবুল হোসেনের ছেলে জামির, মৃত আব্দুল্লাহ মোল্ল্যর ছেলে মাসুদ রানা।
মামলার বিবরণ সুত্রে জানাযায়, জমিজমা নিয়ে ১ নং আসামী পাড়ের কায়বা গ্রামের
মোশারফ হোসেনের ছেলে ও উপজেলার উলাশী ইউনিয়নের সচীব নাজমুল হাসানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বাদী আবু হোসেনের শত্রুতা চলছিলো।পুর্বশত্রুতার জের ধরে গত ২২/০৭/২২ তারিখে সকাল ১০ টার দিকে আসামীগন সহ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, বাশের লাঠি,দা কুড়াল ও হকিষ্টিক নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে আতংক সৃষ্টি করে।পরে ১ নং আসামী ইউপি সচীব নাজমুলের নেতৃত্বে বাদী আবু হোসেনকে বুঝে উঠার আগে তার বসতবাড়ীর টিনের ও টিনের দেওয়াল, গোয়াল ঘর,কাঠের ঘর কুপিয়ে কেটে ভেঙ্গ গুড়িয়ে দেয়।এসময় আবুল হোসেন তার স্ত্রী শাহানারা এবং তার পুত্র অমিত হাসান ও তার শ্যালক বাধা দিলে সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা বাশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদেরকে জখম করে উক্ত বাড়ীতে আসলে জীবনে শেষ করে ফেলবে এমন হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে স্হানীরা আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।সন্ত্রাসীরা এলাকার চিহ্নিত ও প্রভাবশালী হওয়াই প্রানের ভয়ে চরম মানবেতার জীবন যাপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল হোসেনের পরিবার।
উল্লেখ্য আবু ঐ জমিতে ১৯৯০ সাল থেকে বসবাসও করে আসছে বলে স্হানীয় প্রতিবেশীরা জানান এবং ৬৭ শতক জমি তার দখলে আছে।এব্যাপারে আদালতে একটি মামলাও চলমান আছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন খাঁন বলেন,এব্যাপারটা আমি শুনেছি কিন্তু থানায় কোন অভিযোগ হয়নি।তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করেছেন আপনারা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
বিষয়ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,ব্যাপারটা অনেক আগের থেকে জানি আবু খালেকের সাথে ব্যাবসা করতো।সে খালেকের কাছে জমি বিক্রি করেছে তোমরা খালেকের কাছ থেকে জেনে নাও।