চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল পাল্টা দখল নিয়ে হরিলুট চলছে। দখলদারেরা যে যার মতো করে জমি দখল করে সেখানে কাঁচা-আধাপাকা ও পাকা স্থাপনা তৈরি করছে। যেন দখলের মহোৎসব চলছে। প্রশাসনের বরাবরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নোটিশ ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকার পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নির্বিকার থাকায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। আবার দখলদারিত্বের অভিযোগ করে গত ৩১ জুলাই ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক পক্ষ। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পুর্ব ইউনিয়ন (বেড়িবাজার) সন্তোষপুর গ্রামের সাবেক ১৮২ হাল ১২৮নং সন্তোষপুর মৌজার সিএস ৬৭৪ ও ৭৫৯ খতিয়ান ভুক্ত বাড়ি মোট-৬০ শতাংশ অন্দরে ৫ শতাংশ ভূমি রয়েছে। এই সম্পত্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন। কিন্তু ঐ সম্পত্তির উপর হঠাৎ করে বিভিন্ন প্রভাবশালীরা পাকা ভবন নির্মাণ করছে। ৩ আগস্ট সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাজ চলমান। স্থানীয় বাসিন্দা ডা. মনছুর আহমেদ তার ভাই মঞ্জুর মোর্শেদ কাছে এই ভূমি ভোগ দখল করতে দেয়। মঞ্জুর মোর্শেদ ঐ সম্পত্তি তার বোন বিলকিছ বেগমের কাছে বিক্রি করে ২০২১ সালে। এই কথা জানাজানি হলে ডা. মনছুর আহমেদ স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন কাছে বিক্রি করে। বর্তমানে আবুল হোসেন সেখানে পাকা ভবন করছে। অপরদিকে, মঞ্জুর মোরশেদ উক্ত সম্পত্তি নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সম্পত্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
তিনি জানান, আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে বর্তমানে দিনে-রাতে বহু মানুষের উপস্থিতিতে বিশাল পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে একটি পক্ষ। অপরদিকে, পাকা ভবন নির্মাণকারী আবুল হোসেন জানান, তিনি ডা. মনছুর আহমেদ কাছ থেকে ক্রয় করে সেখানে ভবন নির্মাণ করছেন।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাঁদপুর শাখা-২ এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিনে সাইট পরিদর্শন করি এবং পুনরায় ১৬ জুন সাইট পরিদর্শন করে ১৯ জুন প্রশাসনিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যান, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে অনুলিপি প্রদান করি। কাজ বন্ধ না হলে এই মুহুর্তে আমাদের কিছু করার নেই,যখন উচ্ছেদ অভিযান হবে তখন আমরা ব্যবস্হা গ্রহণ করতে পারবো।