মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার আলীমাবাদ ইউনিয়নের চরমহিষা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে জনসমাগম এলাকায় গড়ে উঠছে জামাল জমাদ্দারের অবৈধ করাতকল। এগুলোতে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অনেক গাছ। রাতে কিংবা দিনে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে কাঠ চেরাই। আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠা এ মিলের নেই কোন সরকারি অনুমতিপত্র কিংবা লাইসেন্স । পরিবশে অধিদপ্তর কিংবা বনবিভাগের কোন অনুমুতি ছাড়ায় দিনরাত চলছে। শুধু তাই নয়, সরকারের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং হাটবাজার সংলগ্ন গড়ে ওঠা ওই করাত কলের শব্দদূষণের ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এভাবে সরকারের অনুমোদনবিহীন করাতকল (স’মিল) চলায় একদিকে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, অপরদিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন সাধারণ মানুষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। করাত কলের লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনকে ফাকি দিয়ে দিনের পর দিন অবৈধভাবে কি করে এই স’মিল (করাত কল) চলছে এ প্রশ্ন জনগনের। আর লাইন্সেস না থাকায় গাছ কেনা-বেচার ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ না মেনে করাতকল মালিকরা অবাধে কিনছেন যে কোন গাছ। ফলে একদিকে যেমন বেড়েই চলেছে অবাধে বৃক্ষ নিধন বা গাছ কর্তন তেমনি প্রতিনিয়ত হুমকির সস্মুখিন হচ্ছে পরিবেশ। স মিলে বিভিন্ন গাছের তালিকা রেজিষ্টার খাতা না থাকায় কোনটি বৈধ বা কোনটি অবৈধ তা বোঝার উপায় না থাকার কারনে বিপুল পরিমান সরকারী কর ফাঁকি দিতে কোন বেগ পেতে হচ্ছে না করাতকল বা স মিলের মালিকের।কিন্তু প্রত্যেক দিন অসংখ্য গাছ চেরানো হলেও মিলের রেজিস্টার খাতায় রাখা হয় না কোনো তথ্য। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দিনে মোট কী পরিমাণ গাছ (কাঠ) চেরা হলো এবং প্রতিটা গাছের উত্স সম্পর্কে রেজিস্টার খাতায় উল্লেখ করার বিধান রয়েছে। সেই সঙ্গে স’ মিল মালিককে প্রতি মাসে এসব হিসাব বন বিভাগের কাছে জমা দেওয়ার কথা। তা আমলে নিচ্ছে না। উপজেলায় কতটি স্ব মিল রয়েছে তারও কোনো সঠিক হিসাব নেই প্রশাসনের কাছে। লাইসেন্স না থাকা এবং অবৈধভাবে চালানোর প্রসঙ্গে করাতকলের মালিক জামাল জমাদ্দার বলেন, আমারটাই দেখলেন অবৈধ, আরো কতইতো অবৈধ আছে, সেগুলো দেখেন না, আমি লাইসেন্স’র জন্য আবেদন করেছি।