ঠাকুরগাঁও, বালিয়াডাঙ্গী, গোয়ালকারী, ৪ নং ওয়ার্ড ইউনিয়ন – বড়বাড়ি,কমল চন্দ্র সিংহকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাস্তায় লাঠি, কাস্তে ও কুড়াল দিয়ে বেধড়ক পেটায় স্থানীয় শামসুল নামের এক ব্যক্তি ও তার ৩ ছেলে।
অভিযোগ এর কপি
বর্তমানে কমল চন্দ্র সিংহকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। উল্লেখিত যে কমল চন্দ্র সিংহ ঐ অভিযুক্তদের কাছে একটি জমির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে সালিশীর জন্য আলাপ করতে যান।
কিন্তু অভিযুক্ত শামছুল হক গং ও তার দলবল বলে “শালা, তোরে মেরে ইন্ডিয়া পাঠামু”- বলে ন্যক্কারজনক হামলা চালায়।
এসময় ভুক্তভোগী দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান-এছাড়াও ঐদিন রাতে বাবা যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখনো অভিযুক্তরা আমাদের বাড়ির সামনে এসে আমার মা ও স্ত্রীকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ ও “আইনগতভাবে বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিবে ও নড়াইলের মতো ঘটনা ঘটিয়ে মেরে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিবে বলে হুমকি
ও ইত্যাদি ভাষায় হুমকি দিতে থাকে।
শামসুলের ২য় ছেলে(ডাক নাম- পল্টু) সবার সামনে বলে-“কসম খেয়ে বলছি, এর পর গাছ কাটতে বললে সত্যি সত্যি সবকয়ডারে মেরে ফেলব”।
ঘটনাটি স্ত্রীর কাছ থেকে ফোনে জানার পর আমি জাতীয় জরুরী সাহায্য নম্বর ৯৯৯, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃত্ব জনাব মাজহারুল ইসলাম সুজন ভাই, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয় ও ইউপি সদস্যকে ফোনে জানাই।
উনারা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। ৯৯৯ থেকে বালিয়াডাঙ্গী থানার দায়িত্বরত অফিসার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলে, অথচ অভিযুক্তরা তখনো লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের বাড়ির মূল দরজায় অবস্থান করছিল।
ঐ অবস্থায় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ কে দিতে পারবে? দিন পেরিয়ে রাত আনুমানিক ১০.৩০টা পর্যন্ত কোন সমাধানের কার্যক্রম দেখা যায়নি, অতঃপর বাবা বালিয়াডাঙ্গী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
উল্লেখ্য যে, আমার বাবা দীর্ঘদিন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে উনি উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রশ্ন- তিনি কি এখনো বিচারহীনতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন?? নাকি “মেরে ইন্ডিয়া পাঠিয়ে দিব”(ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক বাক্য)-এর মত সাম্প্রদায়িকতার শিকার? আরো উল্লেখ্য যে, উক্ত অভিযুক্তদের দ্বারা বিগত ২০০৭ সালেও আমরা হামলার শিকার হয়েছিলাম। তাহলে কি এগুলো নীল নকশা।
তখন আমার এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল। বিচার পাইনি। তাহলে এই অভিযুক্তরা কার সাহসে, কার ইন্ধনে এই হামলা করছে? নাকি এই এলাকায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের এটা কেবলমাত্র শুরুর চিত্র? কি বিচার চাইবো, কার কাছে চাইবো?”
আরও জানান,মিঠুন সিংহ উক্ত ভুক্তভোগীর ছেলে, মিঠুন সিংহের কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম, তিনি আমাকে জানিয়েছেন, “দাদা আমি চাকুরী সূত্রে গাজীপুর থাকি।
ঘটনার পর আমার বাবা হাসপাতালে যায়, পরে থানায় যায়, থানায় গিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের পরামর্শে সরাসরি মামলা করে। সেই মামলা এখনো নথিভুক্ত হয়নি।”