সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর কাছে ২৬ হাজার বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। এ বাড়িগুলো হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে দেশের ৫২টি উপজেলাকে পুরোপুরি ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের পাঁচটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেবেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পঞ্চগড়ে এক হাজার ৪১৩টি এবং মাগুরায় ৯৬টি বাড়ি হস্তান্তর করা হবে। পঞ্চগড় জেলায় পাঁচটি এবং মাগুরা জেলায় চারটি উপজেলা রয়েছে। বাড়িগুলো হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে এ দুই জেলার সবকটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে আজ।
সারা দেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ৬৭ হাজার ৮০০টি বাড়ি বরাদ্দ দেওয়ার কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে আজ হস্তান্তর করা হবে ২৬ হাজার ২২৯টি বাড়ি। এর আগে গত ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। আর আট হাজার ৬৬৭টি বাড়ি নির্মাণাধীন। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার গৃহহীন পরিবারগুলোর কাছে এসব বাড়ি হস্তান্তর করবে। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চর ভেলামারী আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার জঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হবেন।
লক্ষ্মীপুর ঘুরে দেখা গেছে, এলাকাজুড়ে সাজ সাজ রব চলছে। বাড়িগুলোকে সাজানো হয়েছে। পাশেই সমাবেশস্থলে শামিয়ানা টানিয়ে ভেতরে সাজসজ্জা। এখানেই বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ প্রকল্পে ১৪২টি বাড়ি পাচ্ছে ভূমিহীন ও গৃহহীনরা।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলায় তিন হাজার ২২৮টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার রয়েছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৬৬টি পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুরো জেলায় আরও ৪৩৬টি পরিবার বাড়ি পাবে। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট এক লাখ ১৭ হাজার ৩২৯টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে ৬৭ হাজার ৮০০টি বাড়ি হস্তান্তরের কাজ চলছে।