এস এ মাসুদ রানা বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- দিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলার ৪ নং দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঈদ-উল- আযহা উপলক্ষে হতদরিদ্রদের জন্য ভিজি এফ এর ১০ কেজি চাল বিতরণে দুর্নীতি অনিয়ম ও ৫০ বস্তা আত্মসাতের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার(২০জুলাই) সকালে কলেজবাজার মহাসড়কের পাশে ঘন্টা ব্যাপি এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে দিওড় ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার চাল প্রতিবস্তা ৩০ কেজি হিসেবে ১ হাজার ৪’শত বস্তা চালের মধ্যে ১ হাজার ৩’শত ৪৩ বস্তা চাল হতদরিদ্র, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে কাউকে ৫ কেজি, কাউকে ৩ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। সেই সঙ্গে ৫৭ বস্তা চাল আত্মসাৎ এর জন্য রেখে চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক নিজেই বলেন, চাল শেষ হয়ে গেছে। আর কাউকে চাল দেওয়া যাবেনা। আপনারা বাড়ি চলে যান। কিন্তু, সরকারি ভাবে জনপ্রতি কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও। ওই চেয়ারম্যান সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে কাউকে ৫ কেজি, কাউকে ৩ কেজি করে চাল দেন এবং কেউ কেউ কার্ড থাকলে চাল না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। চাল না পাওয়াই অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ও সন্দেহের দানা বাঁধে। এঘটনায় শুক্রবার (৮জুলাই)রাতে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় জনসাধারণ ও চাল বঞ্চিত বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ উপজেলার দিওড় ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে রেখে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকারকে ফোনে অভিযোগ করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের অনেক চাল লুকিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা চাল পাইনি। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার তাৎক্ষণিক ভাবে থানা পুলিশসহ ৪নং দিওড় ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে হয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার উপস্থিতিই ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ঘরে তল্লাশী করেন। তল্লাশী করে তিনি পরিষদের সভাকক্ষের ঘর থেকে ৫০ বস্তা চাল ও ইউপি সচিবের ঘরের ভিতর পায়খানা (টয়লেট) থেকে ৭ বস্তা চাল পাওয়া যায়। পরে ৫৭ বস্তা চাল জব্দ দেখিয়ে সভাকক্ষের ঘরে রেখে ঘরটি সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিমল কুমার সরকার।
উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ৪নং দিওড় ইউনিয়নের সভাপতি হাফিজুর রহমান,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি গোলাম রব্বানী মাষ্টার, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম বাদশা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক মোকাদ্দেস হোসেন প্রমুখ।