বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ মুন্সীগঞ্জে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

কুমিল্লায় হিমালয় নামে একটি ইউনানি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে নকল ওষুধ, জটিল রোগের শঙ্কা-দৈনিক বাংলার অধিকার

রবিউল হোসাইন সবুজ, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ / ১৭৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: বুধবার, ২০ জুলাই, ২০২২, ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ইউনানি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে নকল ওষুধ এতে ব্যবহার করা হচ্ছে আটা, ময়দা, রং ও চিনির মিশ্রণে তৈরি হচ্ছে নকল ওষুধ। পরে তা মিটফোর্ডকেন্দ্রিক মুনাফালোভী চক্র ওষুধ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

গত এক বছরে গোয়েন্দা পুলিশের ১৯টি অভিযানে অসাধু এ চক্রটির প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতারের পর নকল ওষুধ তৈরির ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ বলছে, নকল ওষুধ তৈরি হচ্ছে ৫০টিরও বেশি বৈধ আয়ুর্বেদিক কারখানায়।

কুমিল্লায় হিমালয় নামে একটি ইউনানি ল্যাবরেটরিতে তৈরি হচ্ছে ওষুধ। আয়ুর্বেদিকের অনুমতি থাকলেও গোপনে তৈরি করা হচ্ছে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ। গোয়েন্দা পুলিশ কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ। গ্রেফতার করা হয় ১০ জনকে।

এর আগে চুয়াডাঙ্গার অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দারা সন্ধান পায় নকল ওষুধের কারখানার। ২০২১ সালের আগস্ট থেকে ২০২২ সালের জুন– এ ১০ মাসে মোট ১৯টি অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৪৪ জনকে। এ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে ১৫টি। ৪০ ধরনের নামিদামি কোম্পানির কোটি টাকার নকল ওষুধ উদ্ধার করা হয় তাদের কাছ থেকে।

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক কারখানায় তৈরি করা এসব ভেজাল ওষুধ প্রথমে আসে রাজধানীর মিটফোর্ডে। এখান থেকেই অসাধু চক্র কুরিয়ারের মাধ্যমে চালান পাঠিয়ে দেয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসি মালিকদের কাছে। অধিক মুনাফার আশায় জেনেশুনেই ফার্মেসি মালিকরা তা কিনে নিচ্ছেন।

হুবহু মোড়কে গ্যাস্ট্রিক, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের নকল ওষুধ বাজারে ছাড়ছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। মোড়ক দেখে ভোক্তাদের আসল নকল পরখ করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (লালবিভাগ) রাজীব আল মাসুদ বলেন, দেশের সবজেলায় ১০ থেকে ১৫টি কোম্পানি (ইউনানি) পেয়েছি, যারা এ ধরনরে ওষুধ তৈরি করে। অভিযানে তাদের কারখানা বা আস্তানা ভেঙে দেয়া হয়েছে। আরও কিছু ইউনানি কোম্পানি সম্পর্কে আমাদের সন্দেহ আছে, তাদের নাম দিয়েছি ওষুধ প্রশাসনকে।

এক বিশেষজ্ঞ জানান, এসব ভেজাল ওষুধে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের রং ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল। ফলে জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এক কে লুৎফুল কবির বলেন, আমাদের মিটফোর্ডকেন্দ্রিক কাঁচামাল বেচাকেনা হয়। এই জায়গাটা বা এর উৎসকে বন্ধ করতে না পারলে এটা চলতেই থাকবে। বন্ধ হলে তাদের কাছে কাঁচামালটা আর যাবে না। যদি কেমিক্যাল মিশ্রিত জিনিস দিয়ে যদি ওষুধ বানানো হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক হবে।

খোলাবাজারে ওষুধের কাঁচামাল বিক্রি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!