লক্ষ্মীপুরে শহরের উপশম প্রাইভেট হাসপাতলে অপারেশন থিয়েটারে মুক্তা আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) রাত ৯টার দিকে উপশম হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
স্বজনদের অভিযোগ, রাত ৯টার দিকে মুক্তাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর মুক্তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অন্যত্র রেফার করেন চিকিৎসক। এই ঘটনায় নিহতের স্বজনরা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেছে।
নিহত মুক্তা রায়পুর উপজেলার ৩নং চরমোহনা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চরমোহনা গ্রামের
চৌকিদার বাড়ির কৃষক আমিনের ছেলে মো. সোহেলের স্ত্রী মুক্তা (২৫) রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে প্রসব ব্যথা উঠলে মুক্তাকে গাইনি চিকিৎসক শংকর কুমার বসাকের তত্ত্বাবধানে উপশম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিকেল ৩টার দিকে তার সিজারিয়ান অপারেশন করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে সিজার না করে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে অন্যত্র রেফার করেন চিকিৎসক।
নিহতের মা পারুল বেগম, বোন শান্তা বেগম ও স্বামী মো. সোহেল জানায়, মুক্তার অবস্থা অনেক ভালো ছিল। চিকিৎসক বলেছিল, তার সিজার করাতে হবে। এরপর তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে সিজারের জন্য ইঞ্জেকশন পুশ করলেই মুক্তা মারা যায়। কিন্তু চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা তা গোপন করে মৃত অবস্থায় মুক্তাকে ঢাকায় পাঠানোর পরামর্শ দেয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক শংকর কুমার বসাক মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি উপশম হাসপাতালে প্রাইভেট রোগী দেখেন। তিনি বলেন, চিকিৎসায় কোনো ভুল হয়নি। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করেই রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। এজন্য তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে